দেশের তথ্য ডেস্ক।।
খুলনা নগরী ও জেলার বিভিন্ন রুটে ফিটনেস ছাড়াই চলাচল করছে বিভিন্ন প্রকারের ৬ শতাধিক যানবাহন। এর ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। ঝুঁকিতে রয়েছেন ওই যানবাহনগুলোর চালক, শ্রমিক ও যাত্রীরা। ইতোমধ্যে বিআরটিএ এসব যানবাহনের তালিকা তৈরি করেছে। শিগগিরই এসব যানবাহন বন্ধে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি।
খুলনা বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ফিটনেস ছাড়াই চলাচল করছে ৪২টি বাস, ৪৩৪টি অটোরিকশা, ৫৯টি মাইক্রোবাস, ২৫টি মিনিবাস, ১৭টি ট্রাক। এই তালিকায় রয়েছে ৪টি অ্যাম্বুলেন্স, ৮টি প্রাইভেটকার, ৩টি কার্গোভ্যান, ৫৪টি কাভার্ডভ্যান, ৬টি পিকআপ, ৮টি স্পেশাল পারপাজ ভেইক্যাল, ৩টি ট্যাংকার ও ১টি ট্রাক্টর।
সম্প্রতি এ তালিকা খুলনা জেলা পুলিশ সুপার, হাইওয়ে পুলিশের খুলনা অঞ্চলের পুলিশ সুপার, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বিআরটিএ বিভাগীয় কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বাস-মালিক সমিতি ও পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কাছে পাঠানো হয়েছে।
পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফিটনেস বিহীন ৪২টি বাস নগরী থেকে জেলার পাইকগাছা, কয়রা, দাকোপ, বাগেরহাটের রামপাল ও মোংলাসহ কয়েকটি উপজেলা রুটে চলাচল করে। এই বাসগুলোর মধ্যে কয়েকটি রয়েছে একেবারে লক্কড়-ঝক্কড়। বাসগুলোতে বিভিন্ন প্রকার ত্রুটি থাকলেও মালিকরা তা ঠিক না করিয়েই সড়কে নামিয়ে দিয়েছে। এর ফলে বাস চালক, হেলপার ও যাত্রীরা ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার পর আমরা দেখতে পাই বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল না বা চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল ঠেকাতে পুলিশ ও বিআরটিএ অভিযান চালায়। প্রতিদিনই বহু গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করা হয়। তবে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল করছে। আর সে কারণে দুর্ঘটনাও বাড়ছে। তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটা হ্রাস পাবে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে খুলনা বাস, মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা দাবি করেন, তাদের সমিতির আওতায় ফিটনেস বিহীন বা লক্কড় ঝক্কড় কোনো বাস চলাচল করে না।
এ ব্যাপারে খুলনা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ বলেন, তালিকা তৈরির পর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ফিটনেস বিহীন এসব যানবাহন চলাচল বন্ধে শিগগিরই তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।