দেশের তথ্য ডেস্ক।।
বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে পেঁয়াজ রফতানির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত, তা প্রায় পাঁচ মাস পর তুলে নিয়েছে প্রতিবেশী দেশটি।
আজ শনিবার (০৪ মে) দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
রফতানির জন্য প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম মূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস-এমইপি) ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে ডিজিএফটি।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। ৩১ মার্চ এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা অনির্দিষ্টকালের জন্য করা হয়। এবার সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল প্রতিবেশী দেশটি।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ভারতের বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষি ও ব্যবসায়ীরা অনেক দিন ধরে পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন। এবার লোকসভা নির্বাচন চলাকালে তাদের দাবি আমলে নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে বাংলাদেশে পেঁয়াজের যে ঘাটতি তার সিংহভাগ পূরণ হয় ভারতের পেঁয়াজ দ্বারা। প্রতিবেশী দেশটি নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা দেখা দেয়। তবে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে সীমিত আকারে বাংলাদেশে নিত্যপণ্যটি রফতানি করে ভারত। এবার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজ আসতে আর কোনো বাধা রইল না।
বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাৎসরিক চাহিদার বেশিরভাগই পূরণ হয় দেশীয় উৎপাদনের মাধ্যমে। বাইরে থেকে আমদানি করতে হয় ৫-৬ লাখ টন পেঁয়াজ। যার বেশিরভাগই আসে ভারত থেকে। এছাড়া মিয়ানমার, মিসর, তুরস্ক ও চীন থেকে অল্প পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।