সমরেশ রায় ও শম্পা দাস,কলকাতা প্রতিনিধি।।গত ২৮ শে এপ্রিল রবিবার, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গাঙ্গুলী সমর্থনে, নন্দকুমার বিধানসভার খঞ্চি স্কুল গ্রাউন্ডে বুথ কার্যকর্তা সম্মিলন আয়োজিত হয়।সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, এদিন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গাঙ্গুলী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দা জেলা সভাপতি তাপসী মন্ডল সহ বিজেপি জেলা ও ব্লক নেতৃত্বরা,সভা শুরু হওয়ার আগে মঞ্চে, বিধানসভার কোর কমিটির সদস্যরা, একটি মালা দিয়ে বরণ করে নেয় বিরোধী দলনেতাকে। আর সাথে অন্যান্য নেত্রীরা পুষ্পস্তবক দিয়ে একে একে বরণ করে নেন , এবং তাহার সাথে একটি স্মারক হাতে তুলে দেন।
মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন আমি এই পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ১৭টি জনসভা করেছি ,এই সাতেরটি জনসভায় ভারতীয় জনতা পার্টির জয়জয়কার ও স্লোগান, সবাই মোদী জী কে চাই ,পদ্মফুল দেখে ভোট দিতে চায়, নয় জনগণের মনে সাইক্লোন সৃষ্টি হয়েছে,তৃণমূল কে উদ্ধৃত করে বলেন , এর আগে তৃণমূল ভোটে প্রথম দফায় বিজয় মিছিল বের করেছিল, তৃতীয় দফা ভোটের পরে বিজয় মিছিল বের করতে পারেনি, তিনি ব্যঙ্গ করে বলেন তোমার দেখা নাইরে ,তোমার দেখা নাই।
সাধারণ মানুষ বুঝে গেছে কাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে, তাই ভারতীয় জনতা পার্টির এখন সাইক্লোন চলছে।
আরো কটুক্তি করে বলেন, সবে তো বারোটা বাজে, সন্ধ্যা হয়নি, ভাইপোর কি করি আর পিসি কি করি দেখতে থাকুন , কেউ রেহাই পাবে না, ৫ হাজার ৪০০ পদ ১৮ লক্ষ ২০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে, তৃণমূল কটা রাজ্যকে কোথায় নিয়ে গেছে তা পঞ্চায়েত ভোটে প্রমাণ পেয়েছেন, ওর থেকে শুরু করে ভোট বাক্স লুট, শুধু তাই নয়, দিদি কলকাতা থেকে লাফিয়ে নন্দীগ্রামে এসে ভোটে দাঁড়িয়ে 65 হাজার ভোটে হেরে বাড়ি গিয়েছেন, আর সেই বাজনা চিরদিন বাজবে, এখন শুধু জানার কথা, জানতে চাই জেলে যাবে কবে, আমাদের এলাকায় শানু বকশীও রেহাই পাবেন না বলে জানান, কাউকেই ছাড়া হবে না,বলেন এখানে পরপর জনসভা করে ভুঁড়ি ভুঁড়ি মিথ্যার পর মিথ্যে কথা বলে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ওই দিকে বেকার ছেলেদের চাকরি খেয়ে বসে আছেন, লজ্জা থাকার দরকার বলে জানালেন ,বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একের পর এক এইভাবে তীর ছুড়তে থাকেন তৃণমূলের দিকে।