শেখ শামীমুল ইসলাম, দিঘলিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি।। খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামবাসীর উদ্যোগে প্রচন্ড তাপদাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে স্বস্থির বৃষ্টি কামনা করে ইস্তিস্কার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। গত (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টায় দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেয়াড়া কহিনূর স্কুল মাঠে খোলা আকাশের নিচে ইস্তিস্কার ( আল্লাহর কাছে বৃষ্টি কামনা করে যে নামাজ পড়া হয়) নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে মহান সৃষ্টিকর্তা পরম দয়ালু ও দাতা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করা হয়। দিঘলিয়ার দেয়াড়া গ্রামসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের শতশত মুসল্লীরা এ নামাজ আদায়ের জন্য এ স্কুল মাঠে সকাল ৯ টা থেকে সমবেত হতে থাকে। উক্ত নামাজে ইমামতি করেন দেয়াড়া মধ্যপাড়া জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা দ্বীন মোহাম্মদ। বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলী রেজা বাচা, দেয়াড়া মধ্যপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি শেখ বাবর আলী, সরোয়ার খান ডিগ্রী কলেজের প্রফেসর মুনিবুর রহমান, মওলানা নোয়াব আলী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক শেখ আবু জাফর, নুরুল কোরআন মাদ্রাসার মোহতামিম মওলানা জামিরুল ইসলাম, এস এম শাহাজাহান, আবুল খয়ের, ইউপি সদস্য শেখ শাহাবুদ্দীনসহ এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তীব্র গরমে সূর্যের তাপ উপেক্ষা করে এ নামাজে গ্রামবাসী অংশ নেন। নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা। দেয়াড়া মধ্যপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি শেখ বাবর আলি বলেন, আমরা এই তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করে এই নামাজ আদায় করেছি। দেশের বিভিন্ন স্থানে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। জনজীবনে দুর্বিষহ অবস্থা। এমতাবস্থায় নবীজির সুন্নত অনুসারে বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইস্তেস্কার আয়োজন করা হয়েছে। নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়েছে যেনো আল্লাহ এই অবস্থার পরিবর্তন করেন। বৃষ্টির অপেক্ষায় মানুষ ও প্রাণিকূল চাতক পাখির মতো বসে আছে। উষ্ণতম মাস এপ্রিলে ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে কালো মেঘের দেখাও মেলেনি। পুরো এপ্রিল মাসেই (১-২৭) দেশের বিভিন্ন স্থানজুড়ে তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। যা নজিরবিহীন তো বটেই। এর সঙ্গে ভেঙেছে ৭৬ বছরের রেকর্ড। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ২০১০ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ২০ দিন তাপপ্রবাহ ছিল, তবে তা টানা ছিল না। এ বছর টানা ২৭ দিন তাপপ্রবাহ চলছে। এই মাসের ৩ দিন বাকি তাতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তাপপ্রবাহ বিস্তার থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো খবরও পাওয়া যাচ্ছে না।