দেশের তথ্য ডেস্ক।। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দীপক বাবারিয়ার সঙ্গে বিরোধ এবং দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (এএপি) সঙ্গে কংগ্রেসের জোট বাঁধার কারণ দেখিয়ে দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান অরবিন্দর সিং লাভলি পদত্যাগ করেছেন। রোববার (২৮ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগ করেন। গত বছরের আগস্টে লাভলিকে দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়েছিল। তখন তিনি অনিল চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। খবর এনডিটিভি
অরবিন্দর সিং পদত্যাগপত্রে বলেছেন, তিনি দিল্লি কংগ্রেস ইউনিটের সভাপতি হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে সক্ষম নন। দিল্লি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দীপক বাবারিয়া যেভাবে সবকিছু পরিচালনা করেন, তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন পার্টির বেশ কয়েকজন নেতা। লাভলির দাবি, দীপক বাবারিয়ার বিরোধিতাকারীদের বহিষ্কারের জন্য তিনি প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ছিলেন।
লাভলি আরও দাবি করেন, দিল্লি কংগ্রেস ইউনিট আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোটের সম্পূর্ণ বিরোধী ছিল। এর পরও দল দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (এএপি) সঙ্গে জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। পদত্যাগপত্রে তিনি আরও লেখেন, ‘দিল্লি কংগ্রেস ইউনিট এমন একটি দলের সঙ্গে জোট গঠনের বিরুদ্ধে ছিল, যা গঠিতই হয়েছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে এবং যাদের মন্ত্রিসভার অর্ধেক মন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে রয়েছেন।’ তিনি চিঠিতে লিখেছেন, সমঝোতার ভিত্তিতে কংগ্রেসের জয়ের সম্ভাবনা বাড়াতে এএপির সঙ্গে জোট গঠন করা হয়েছে।
লাভলি বলেছেন, তিনি এএপির সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের সিদ্ধান্তকে সম্মান করেছিলেন। তবে দিল্লির উত্তর-পূর্ব আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী কানহাইয়া কুমার এএপির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রশংসা করলে বিরক্ত হন লাভলি। দিল্লিতে জোটের অংশ হিসেবে কংগ্রেসকে লোকসভায় তিনটি আসন বরাদ্দ করা হয়েছিল। এর মধ্যে উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব আসনে ‘অপরিচিতদের’ মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল বলে লাভলি দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, অরবিন্দর সিং লাভলি দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের অধীনে একাধিকবার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। মাঝখানে ২০১৭ সালের দিকে একবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এর কয়েক মাস পর ফিরে আসেন কংগ্রেসে। আম আদমি পার্টির প্রবল বিরোধী হিসেবে পরিচিত লাভলি।