মোঃ বাবুল রানা|| পরপুরুষে আসক্ত হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বুনে আসছেন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে স্ত্রী কেয়া মনি। এমনটাই অভিযোগ করেন স্বামী সজীব।
ভোলা সদর উপজেলার বাংলা বাজার দঃ দিঘলদী ১নং ওয়ার্ড সোনালী ব্যাংক এর পিছনে দেলোয়ার মেলেটার বাড়িতে স্বামী সজীবের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী কেয়া মনির বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবার ( ১৯ এপ্রিল) সকাল থেকেই দফায় দফায় বিভিন্ন কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী সজীবকে মামলা দেওয়ার হুমকি ধামকি দিয়ে সকালে বাপের বাড়ি চলে যান স্ত্রী কেয়া মনি। এই দিনই বিকেলে কেয়া মনির ছোট ভাই সৌরভকে সাথে নিয়ে স্বামী সজীবের বাসায় ফিরে আসেন স্ত্রী। ছোট ভাই সৌরভকে নিয়ে স্বামীর বাসায় ঢুকতেই ননদ শারমিন বেগমকে দেখতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে যান স্ত্রী কেয়া মনি। স্বামী সজীব স্ত্রীর বিষয়টি সমাধানে বসার কথা বলেন স্ত্রীর ছোট ভাই সৌরভকে। স্ত্রী কোন সমাধানে বসতে চান না। এক পর্যায়ে তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হয় স্বামী-স্ত্রীর ভিতরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত দিন ধরে তাদের সাংসারিক জীবনে ঝগড়াঝাটি লেগেই আছে। গত শুক্রবার সকাল থেকেই স্বামী-স্ত্রীর তর্কবিতর্ক শুনতে পান স্থানীয়রা। এক পর্যায়ে বিকেলে স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ার আওয়াজ শুনে ছুটে যান বাসায়। গিয়ে দেখেন কেয়া মনি তার ননদকে শরীলে ব্যবহারিত থাকা বোরখা দিয়ে পেচিয়ে রেখেছেন। এরই মধ্যে হঠাৎ কেয়া মনির ছোট ভাই সৌরভ ঘরে ব্যবহারিত তাড়ালো দা দিয়ে সজীবকে আঘাত করতে গেলে সজীব নিচু হয়ে যান। সেই ধারালো দায়ের আঘাত গিয়ে লাগেন বাসার টিনে। এমনই সময় কেয়া মনি ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশকে যৌতুকের জন্য মারধর করেন বলে মিথ্যা অভিযোগ করেন। তবে সজীব ৯ বছরে বিবাহিত জীবনে কখনো কেয়া বেগমে যৌতুকের কথা বলেননি।
খলিলুর রহমান জানান, স্বামী স্ত্রীর ভিতরে অনেক আগে থেকেই ঝগড়া ঝাটি লেগে আছে। স্বামী সজীব স্ত্রীকে ছোট কোনো বিষয় নিয়ে ডাক দিলেও চরমভাবে ক্ষেপে যান স্বামীর বিরুদ্ধে। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে। স্বামী সজীব দুই সন্তানের চিন্তা করে স্ত্রীর সাথে কোন ঝগড়া বিবাদ করেন না।
এ বিষয় সজীব জানান, আমি বিয়ে করেছি দীর্ঘ ৯ বছর হয় বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আমার স্ত্রী কেয়া মনি বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করেন। একদিন আমি কাজ থেকে বাসায় এসে দেখি স্ত্রী কেয়া মনি মুঠোফোনে কার সাথে যেনো কথায় মেতে উঠেছেন। আমি স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম কার সাথে কথা বলো।স্ত্রী কেয়া মনি আমার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত বাসায় গালিগালাজ করেন। গত শুক্রবার আমার বোন শারমিন বেগম বেড়াতে আসেন আমার বোন বেড়াতে আসাতে আমার স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাপের বাড়ি চলে যান। শুক্রবার বিকেলে আমার শালা সৌরভকে নিয়ে স্ত্রী বাসায় আসেন। হঠাৎ করি বিভিন্ন অতর্কিত ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমি আমার শালাকে বিষয়টি জানালে আমার স্ত্রী দৌড়ে এসে আমাকে আঘাত করেন। আমার বোন শারমিন বেগম ছাড়াতে গেলে আমার বোনের শরীলে ব্যবহারকিত বোরকা দিয়ে গলা পেচিয়ে ধরেন। এমন সময় আমার শালা সৌরভ ঘরে ব্যবহারকিত দাড়ালো দা দিয়ে আমাকে আঘাত করতে আসলে আমি নিচু হয়ে যাই সেই আঘাত দিয়ে লাগে বাসার টিনে। এমন সময় আমাদের স্ত্রী ৯৯৯ কল দিয়ে প্রশাসনকে বলেন আমি স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য বুঝেছি বলে মিথ্যা অভিযোগ করেন।
এ বিষয় কেয়া মনির সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কথা এড়িয়ে গিয়ে তার ভাইকে ফোন ধরিয়ে দেন তার ভাই সৌরভ ব্যাস্ত বলে কল কেটে দেন।
৯৯৯ কল পেয়ে দৌলতখান থানার কর্মকর্তা বাংলাবাজার পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্র বিষয়টা অবগত করেন
এ বিষয়ে বাংলাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মোস্তফা মনিরুল আলম জানান, ৯৯৯ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পাই দু পক্ষই সুস্থ স্বাভাবিক রয়েছেন। ৯৯৯ অভিযোগের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। আমরা কেয়া মনিকে তার ভায়ের হসুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় হস্তান্তর করি।