দুই জন সাক্ষী রেখে ভিডিও কলে বিয়ে করলে হবে?

9f6611b6089b247333c19bfbb1a336184250df67d4dd2b20.png

দেশের তথ্য ডেস্ক।।  আধুনিক যুগ। এখন মানুষ দিন দিন ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। এমনকি বিয়ে শাদীও এখন ইন্টারনেটে হয়। মোবাইলে, ফোনে, ইমুতে, হোয়াটঅ্যাপে বিয়ের বিষয়ে অনেকে এখন জানতে চায়। বিশেষ করে ভিডিও কলে বিয়ে করলে কি বিয়ে হয়? এ বিষয়ে জানতে চান অনেকে।

ফোনে বা ভিডিও কলের মাধ্যমে বিবাহ করলে তা শুদ্ধ হয়না। কেউ যদি ভুলক্রমে, না জেনে এভাবে বিয়ে করে ফেলেন তাহলে বাসরের আগে দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে অবশ্যই নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

 

কারণ বিবাহের ইজাব কবুল শুদ্ধ হওয়ার জন্য ইত্তিহাদুল মাজলিস (প্রত্যক্ষভাবে একই আসর, মজলিস, বৈঠকে) হওয়া শর্ত। ভিডিও কলের ক্ষেত্রে এই শর্তটা অনুপস্থিত। এখানে অপরপক্ষের প্রতিচ্ছবি দেখা গেলেও ব্যক্তি স্বশরীরে অনুপস্থিত। তাই ইত্তিহাদুল মজলিস হয়না। 
 
তবে যদি বরপক্ষের কাছে কনে পক্ষের উকিল(কাউকে নিজেদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব প্রদান ও গ্রহনের অধিকার বা সম্মতি দেয়া হলেই তিনি উকিল বা প্রতিনিধি সাব্যস্ত হন) উপস্থিত থাকে এবং তারা ইজাব কবুল করে তাহলে নিঃসন্দেহে বিবাহ হয়ে যাবে। 

কারণ ইত্তিহাদুল মজলিসের শর্ত এক্ষেত্রে পূরন হয়ে যায়। অনুরূপভাবে কনে পক্ষের কাছে বরপক্ষের উকিল উপস্থিত থেকে ইজাব কবুল করলেও একই বিধান প্রযোজ্য। মোটকথা, কোন একপক্ষ ও অপরপক্ষের উকিলের উপস্থিতিতেও ইজাব কবুল সংঘটিত হলে বিবাহ হতে কোন সমস্যা নেই। এক্ষেত্রে বর কনের ভিডিও কলের মাধ্যমে ইজাব কবুল করাও অর্থহীন। তবে দর্শক হিসেবে ভিডিও কলে থাকতে সমস্যা নেই।

অতএব, দূরে অবস্থানকারী কাউকে বিবাহ করতে চাইলে ফোনের মাধ্যমেই সেখানে উপস্থিত কাউকে উকিল বানিয়ে দিবে। এবং সেই উকিল তার মুয়াক্কিলের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত অপরপক্ষের সাথে ইজাব কবুল করবেন। বিয়ে একটি পবিত্র সম্পর্ক। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই হক্কানি আলেমদের উপস্থিতি জরুরি। আপনার যদি বিয়েই না হয় তাহলে আজীবন ঘর-সংসার করবেন অবৈধভাবে এটা খুবই জঘণ্য কাজ হবে। তাই এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখা জরুরি। 

দলিল: ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৯৪, ১/৩৬৯; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৫১৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৪/৩৬, আল মাবসুত ৫/১৬-১৭, ফাতওয়ায় উসমানী-২/৩০৬
ফাতওয়া লাজনাতিদ্দায়িমাহ ১৮/৯০ (এটা আরবের কেন্দ্রীয় ফতওয়া বোর্ডের সিদ্ধান্ত)

Share this post

PinIt
scroll to top