দেশের তথ্য ডেস্ক।। জওহরলাল নেহরুর আগে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (১৯৪০-৪৬)। এর আগে তিনি ১৯২৩ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি তার সাংবাদিকতা ও রাজনৈতিক জীবনের পুরো সময়ে হিন্দু মুসলিম ঐক্যের ভিত্তিতে অখণ্ড ভারতের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস নেতারাই শেষপর্যন্ত তার অখণ্ড ভারতের স্বপ্নভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ভারতকে অখণ্ড না রাখার পক্ষে তাঁর কংগ্রেস সহকর্মীদের ভূমিকা তাঁকে মর্মাহত করে, যা তিনি ব্যক্ত করতে পারেননি তাঁর সহকর্মীরা কষ্ট পাবেন বলে।
কিন্তু মাওলানা আজাদ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে, কৃষ্ণ মেনন কমিউনিজমের চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন, কিন্তু পদ লাভ করার লোভে লর্ড মাউন্টব্যাটেনের হৃদয় জয় করার জন্য তিনি রাতারাতি প্রচণ্ড ব্রিটিশ অনুরাগীতে পরিণত হন। যিনি মাউন্টব্যাটেনের সঙ্গে তার সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে তাকে প্রভাবিত করেছিলেন ভারত-বিভাগ পরিকল্পনা মেনে নিতে।
পাকিস্তানের খ্যাতিমান সাংবিধানিক আইনবিদ এবং “জিন্নাহ: অ্যা লাইফ” নামে গ্রন্থ প্রনেতা ইয়াসির লতিফ হামদানি গত জানুয়ারি (২০২৪) মাসে এক নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন, “ভারতের সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায়ে এবং স্বাধীনতা লাভের সময় মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের শীর্ষ পর্যায়ে একমাত্র মুসলিম ব্যক্তিত্ব ছিলেন। মুসলিম লীগ ভারতে মুসলমানদের একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী দল বলে যে দাবি করে আসছিল, তা মোকাবিলার উদ্দেশ্যেই কংগ্রেস ১৯৪০ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মাওলানা আজাদকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করেছিল। তাঁর রাজনৈতিক জীবন কায়দে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র সঙ্গে সমান্তরাল ছিল, কিন্তু উভয়ের গন্তব্য ছিল বিপরীত।”
জিন্নাহ ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসে যোগদান করার মধ্য দিয়ে একজন কট্টর ভারতীয় জাতীয়তাবাদী হিসেবে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করলেও এবং তিনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনাচরণে ইসলামী রীতিনীতির নিষ্ঠাবান অনুসরণকারী না হওয়া সত্বেও পরবর্তীতে তিনি উপমহাদেশে মুসলিম স্বার্থের একচ্ছত্র নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। অপরদিকে মাওলানা আজাদ খিলাফত কমিটিতে নিজেকে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত করার মধ্য দিয়ে তুর্কি খিলাফত ভেঙে দেওয়ার উদ্যোগের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী ভারতীয় মুসলমানদের স্বার্থের প্রতিভু হিসেবে রাজনৈতিক ময়দানে পদচারণা শুরু করেন। খিলাফত আন্দোলনকে কংগ্রেসের সাথে সমন্বিত করার ক্ষেত্রে তাঁকে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের অন্যতম মুখ্য নেতা হিসেবেও বিবেচনা করা শুরু হয়েছিল তখন থেকেই।
কংগ্রেসের সঙ্গে মাওলানা আজাদের মাখামাখিকে সুদৃষ্টিতে দেখেনি মুসলিম লীগ। মুসলিম লীগাররা মাওলানা আজাদকে “কংগ্রেসের শো-বয়” এবং “নামেমাত্র” মুসলিম বলে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতেন। ১৯৪০ সালে মুসলিম লীগ যখন লাহোরে ঐতিহাসিক পাকিস্তান প্রস্তাব গ্রহণ করছিল, তখন লাহোর প্রস্তাবে বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্যারেডে মাওলানা আবুল কালাম আজাদের ভূমিকা তাকে ১৯৪০ সালে কংগ্রেসের সভাপতি পদে আসীন হওয়ার পথ সুগম করেছিল।
তবে লক্ষ্যণীয় দিক হলো যে মাওলানা আজাদ যদিও অত্যন্ত অটলতার সঙ্গে জিন্নাহ ও তার দল মুসলিম লীগের প্রতিপক্ষ ছিলেন, কিন্তু তিনি তাঁর ঘনিষ্ট মুসলিম সহকর্মীদেরও জিন্নাহ এবং লীগের বিরুদ্ধে উসকে দেননি বা প্রবল ভূমিকা রাখার জন্য উদ্বুদ্ধ করেননি। তিনি সাধারণভাবে কংগ্রেসের নেতা হিসেবে এবং জাতীয়তাবাদী মুসলিম হিসেবে হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের ওপর জোর দিয়েছেন এবং ভারতের মুসলমানদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ভারতকে অখণ্ড রাখা ও ব্রিটিশের হাত থেকে অখণ্ড ভারতের স্বাধীনতার জন্য দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে। জিন্নাহ’র নেতৃত্বে মুসলিম লীগ মুসলমানদের পৃথক আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার জন্য যে আন্দোলন করছিল, মাওলানা আজাদ সে আন্দোলনকে নিরুৎসাহিত করতে চেষ্টা করেছেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই এবং এর পক্ষে অনেক প্রমাণ রয়েছে। এজন্য ভারত বিভাগ সম্পর্কে তিনি কি বলেছিলেন এবং তিনি কাকে দায়ী করেছিলেন, তা বিবেচনা করা আবশ্যক।
ভারত বিভাগের জন্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ যে তিন ব্যক্তিকে দায়ী করেন, তারা ছিলেন জওহরলাল নেহরু, সরদার বল্লভভাই প্যাটেল এবং লর্ড মাউন্টব্যাটেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ওপর তাঁরআত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ “ইন্ডিয়া উইনস ফ্রিডম” এর কিছু অংশ ১৯৫৮ সালে গ্রন্থটি যখন প্রথম প্রকাশিত হয়, তখন যোগ করা হয়নি। তিনি তার বিশ্বস্তদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন তার মৃত্যুর আগে সেই অংশ যাতে তার গ্রন্থে সংযোজন না করা হয়। অবশেষে তার রেখে যাওয়া অপ্রকাশিত অংশ তাঁর মৃত্যুর ৩০ বছর পর ১৯৮৮ সালে তার গ্রন্থে সংযোজন করা হয়। সংযোজিত অংশ থেকে সুষ্পষ্ট ধারণা করা সম্ভব হয় যে, কেন তিনি ভারত বিভাগের জন্য মুখ্যত নেহরু, প্যাটেল ও মাউন্টব্যাটেনকে দায়ী করেছিলেন।
ভারত বিভাগ সম্পর্কে তিনি লিখেছেন:
“এখন এমন এক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে, যেখানে আমরা জিন্নাহ’র চেয়ে বেশি ভারত বিভাগের সমর্থকে পরিণত হতে যাচ্ছিলাম। আমি জওহরলালকে সতর্ক করেছিলাম যে, আমরা যদি দেশ-বিভাগে সম্মত হই তাহলে ইতিহাস আমাদের কখনও ক্ষমা করবে না। চূড়ান্ত রায় দাঁড়াবে যে, মুসলিম লীগ ভারত বিভক্ত করেনি, বরং কংগ্রেসই ভারত বিভক্ত করেছে।”
মাওলানা আজাদের বক্তব্য সঠিক ছিল। ভারত বিভাগ করেছিল কংগ্রেস, মুসলিম লীগ নয়। মুসলিম লীগ কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল, কিন্তু কংগ্রেস এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছিল।
মাওলানা লিখেছেন:
“এখন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাগুলোর মধ্যে এমন একটি ঘটনা ঘটে গেল, যা ইতিহাসের গতি পরিবর্তন করে দিয়েছিল। ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই জওহরলাল বোম্বেতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এক বিস্ময়কর বিবৃতি প্রদান করেন। সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকে তাঁকে প্রশ্ন করেন যে, অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি (এআইসিসি) যে প্রস্তাব পাস করেছে, তাতে কংগ্রেস কি অন্তবর্তী সরকার গঠনসহ পরিকল্পনা পুরোপুরি গ্রহণ করেছে কিনা? উত্তরে জওহরলাল বলেন যে, “সমঝোতা অনুযায়ী কংগ্রেস সম্পূর্ণ নিরবিচ্ছিন্নভাবে গণপরিষদে যোগ দেবে এবং সেখানে উত্থাপিত সকল পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে কংগ্রেস সম্পূর্ণ স্বাধীন।”
“সাংবাদিকরা আবারও জানতে চান যে, এর অর্থ কি এটা যে কংগ্রেস কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা পরিবর্তিত হতে পারে? জওহরলাল সুনির্দিষ্টভাবে উত্তর দেন যে, কংগ্রেস শুধু গণপরিষদে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে এবং গণপরিষদ যেভাবে ভালো বিবেচনা করে সেভাবে কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে স্বাধীন সিদ্ধান্ত প্রয়োগ করবে।
“মুসলিম লীগ কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল চাপের মুখে। স্বাভাবিকভাবেই জিন্নাহ এ ব্যাপারে খুব সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি মুসলিম লীগ কাউন্সিলে সুস্পষ্টভাবে বলেন যে, তিনি কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা গ্রহণের ব্যাপারে সুপারিশ করেছেন, কারণ, এর চেয়ে ভালো কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষগণ এই বলে তার সুপারিশের সমালোচনা শুরু করেন যে, তিনি ভালো কিছু আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
“জওহরলালের ঘোষণা জিন্নাহ’র কাছে বোমা বিস্ফোরণের মতো মনে হয়। তিনি বিলম্ব না করে একটি বিবৃতি দান করেন যে, কংগ্রেস সভাপতির এই ঘোষণার ফলে সমগ্র পরিস্থিতি পুনরায় যাচাই করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। অতএব লিয়াকত আলী খানকে বলেন মুসলিম লীগ কাউন্সিলের একটি সভা আহবান করতে এবং এই মর্মে একটি বিবৃতি দেন।
“দিল্লিতে অনুষ্ঠিত মুসলিম লীগ কাউন্সিল কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল, কারণ এই পরিকল্পনায় আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে, কংগ্রেসও এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং এই পরিকল্পনাই হবে ভারতের ভবিষ্যৎ সংবিধানের ভিত্তি। কিন্তু কংগ্রেস সভাপতি যেহেতু ঘোষণা করে বসেছেন যে, গণপরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে কংগ্রেস কেবিনেট মিশন পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে পারে, অতএব এর অর্থ দাঁড়ায় যে, সংখ্যালঘুদের সংখ্যাগরিষ্ঠের কৃপার পাত্রে পরিণত করা হবে।”
অখণ্ড ভারতের ব্যাপারে মাওলানা আজাদ যে দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতেন তাতে তিনি প্রায় পুরোপুরি সঠিক ছিলেন। উপমহাদেশে সাংবিধানিক ক্রমবিবর্তনের ধারা সম্পর্কে যারা ধারণা রাখেন তাদের পক্ষে এটা উপলব্ধি করা সহজ যে যে, জিন্নাহ’র চূড়ান্ত দাবি, যা ছিল একটি সার্বভৌম পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, কংগ্রেস সভাপতির ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে সেই দাবিকেও কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। এর অর্থ ছিল ভারত হবে একটি কনফেডারেশন, যার একটি অংশ হবে পাকিস্তান অথবা ভিন্নভাবে বলা যায়, পাকিস্তান ও অবশিষ্ট ভারতের মধ্যে একটি চুক্তি-ভিত্তিক সম্পর্ক। কোনোভাবেই পৃথক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা নয়।
জিন্নাহ’র কাছে কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা ছিল একটি আদর্শ সমাধান। তাঁর এ পরিকল্পনা মেনে নেয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তিনি শেষ সময় পর্যন্ত তাঁর সর্বোচ্চ দাবি ছেড়ে দেওয়ার জন্যও প্রায় প্রস্তুত ছিলেন। আসলে পুরো ব্যাপারটি শুরু হয়েছিল অনেক আগে, ১৯৩৭ সালে।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন:
“জওহরলাল আমার প্রিয় বন্ধুদের অন্যতম এবং ভারতের জাতীয় জীবনে তাঁর অবদান অন্য কারও সঙ্গে তুলনীয় নয়। তা সত্বেও আমি দুঃখের সাথে বলতে চাই যে, তাঁর দ্বারা জাতীয় স্বার্থের চরম ক্ষতি সাধনের ঘটনা এটাই প্রথম ছিল না। ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইনের অধীনে ১৯৩৭ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনের সময়েও তিনি প্রায় একই ধরনের ভুল করেছিলেন। সেই নির্বাচনে বোম্বে এবং ইউপি ছাড়া সারা দেশে মুসলিম লীগের বড় ধরনের রাজনৈতিক বিপর্যয় ঘটেছিল —।
“ওই সময়ে ইউপি’তে মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন চৌধুরী খালিকুজ্জামান এবং নওয়াব ইসমাইল খান। আমি সরকার গঠন করার জন্য লখনউ গিয়ে তাদের দু’জনের সঙ্গেই আলোচনা করি। তারা আমাকে আশ্বাস দেন যে, তারা শুধু কংগ্রেসকে সহযোগিতাই করবেন না, বরং তারা কংগ্রেসের কর্মসূচিও পুরোপুরি সমর্থন করবেন। স্বাভাবিকভাবেই তারা আশা করেছিলেন যে, নতুন সরকারে মুসলিম লীগের কিছু অংশীদারিত্ব থাকবে। স্থানীয় পরিস্থিতি এমন ছিল যে, তাদের দু’জনের মধ্যে কেউই একা সরকারে যোগ দিতে পারবেন না। হয় তাদের দু’জনকেই সরকারে নিতে হবে, অথবা এক জনকেও নয়। অতএব, আমি আশা করেছিলাম যে, তাদের দু’জনকেই সরকারে নেয়া হবে ÑÑ এবং আমি সেখান থেকে পাটনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই, কারণ বিহারে মন্ত্রীসভা গঠনের ব্যাপারে আমার উপস্থিতির আবশ্যকতা ছিল। কিছুদিন পর আমি এলাহাবাদে ফিরে আসি এবং একথা জেনে অত্যন্ত দু:খবোধ করি যে, জওহরলাল চৌধুরী খালিকুজ্জামান এবং নওয়াব ইসমাইল খানকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন যে, তাদের মধ্য থেকে কেবল একজনকে মন্ত্রীসভায় নেয়া যেতে পারে। তিনি আরও বলেছেন যে, মুসলিম লীগকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে যে, কে মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। কিন্তু আমি ওপরে যা উল্লেখ করেছি, সেই প্রেক্ষাপটে তাদের দু’জনের মধ্যে কেউ একা মন্ত্রীসভায় যোগদান করার অবস্থায় ছিলেন না। অতএব তারা দু:খপ্রকাশ করে জানান যে, তাদের পক্ষে জওহরলালের প্রস্তাব গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
“এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক একটি ঘটনা ছিল। কংগ্রেস যদি মুসলিম লীগের সহযোগিতার প্রস্তাব গ্রহণ করতো, তাহলে মুসলিম লীগ বাস্তব কারণের কংগ্রেসের সঙ্গে এক হয়ে থাকতো। জওহরলালের পদক্ষেপ ইউপি’তে মুসলিম লীগকে নতুন জীবন দান করে। যারা ভারতীয় রাজনীতি পর্যবেক্ষণ করেন, তারা সকলে অবহিত যে, মুসলি লীগ ইউপি থেকে মুসলিম লীগ নিজেদের সুসংগঠিত করার সুযোগ পায়।