দেশের তথ্য ডেস্ক।। টানা তীব্র দাবদাহে মাদারীপুর জেলার আড়াইশো শয্যার হাসপাতালের বেড়েছে রোগীর চাপ। প্রতিদিন এই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন শত শত রোগী। হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে রোগীর স্থান সংকুলান না হওয়ায় বারান্দাতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও বাড়ছে রোগীর ভিড়। এরমধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, মাদারীপুরে তীব্র গরমে জেলার তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। ফলে জ্বর, সর্দি, কাশি, এলার্জি (একজিমা), নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এরমধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালগুলোতে আসন সংকট থাকায় অনেকেই ফ্লোরে নিচ্ছেন চিকিৎসা। এক সঙ্গে অনেক রোগীর চাপ থাকায় হিমশিম অবস্থা নার্স ও চিকিৎসকদের।
এমন পরিস্থিতিতে বার বার পানি পান করার পাশাপাশি অপ্রয়োজনে ঘরের বাহিরে না বের হওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্য বিভাগের। কাজের তাগিতে ঘর থেকে বের হলে খাবার পানি ও রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা সঙ্গে রাখার কথা জানান বিশেষজ্ঞরা।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ঘটমাঝি গ্রামের সিহনার মা রেহানা বেগম বলেন, প্রচণ্ড গরমে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অবস্থা ভালো ছিল না, পরে হাসপাতালে ভর্তি করি। সাতদিন পর আজকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
মোবারকদি এলাকার রোগী আরুহির মা রানী বেগম বলেন, মেয়ের শরীরে হঠাৎ প্রচণ্ড জর। কয়েকবার বমিও করেছে। তীব্র গরমে এই অবস্থা হয়েছে। ভেবেছিলাম ঢাকায় নিয়ে যাওয়া লাগবে, কিন্তু সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর কিছুটা উন্নতি হয়েছে।মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. আবু সফর হাওলাদার বলেন, তীব্র গরমে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে প্রতিদিন শত শত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এর থেকে বাঁচতে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করার পাশাপাশি বিশ্রাম নিতে হবে। বাহিরে বের হলে সঙ্গে ছাতা ও খাবার পানি রাখলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে।