কারাগারে প্রতিদিন মিষ্টি খাবার খাচ্ছেন ডায়াবেটিক রোগী কেজরিওয়াল

kejriwal-20240420135652.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক।। মদ বিক্রির লাইসেন্স প্রদান সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে তিহার কারাগারে বন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল চিকিৎসা জামিন লাভের জন্য একজন ডায়াবেটিক রোগী হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিনই উচ্চ শর্করা ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভারতের অর্থনৈতিক গোয়েন্দা ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি) বৃহস্পতিবার দিল্লির বিচারিক আদালতে এই অভিযোগ করেছে। ইডির কর্মকর্তা জোহেব হোসাইন আদালতকে বলেন, কেজরিওয়াল টাইট ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং কারাগারে তিনি প্রতিদিন আলুপুরি, আম, মিষ্টি খাচ্ছেন। এ সংক্রান্ত একটি ডায়েট চার্টও আদালতে উপস্থাপন করেছে ইডি।

অভিযোগে ইডি কর্মকর্তা আরও বলেছেন, চিকিৎসা জামিন পাওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে কারাগারে উচ্চ শর্করা ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

শুনানির সময় আদালতে কেজরিওয়ালের রাজনৈতিক দল আম আদমি পার্টির নেত্রী ও দিল্লি রাজ্যসভার মন্ত্রী অতসী মারলেনা সিং ইডির অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, যে চার্টটি আদালতে ইডি উপস্থাপন করেছে, সেটি ভুয়া এবং বাড়ি থেকে যেন কেজরিওয়ালের জন্য খাবার না আসে— সেজন্য এই কৌশল অবলম্বন করছে ইডি।

কেজরিওয়ালের আইনজীবী ও আম আদমি পার্টির নেতা বিবেক জৈন বলেন, ‘বাড়ি থেকে কেজরিওয়ালের জন্য যে খাবার পাঠানো হচ্ছে, সেখানে সম্পূর্নভাবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করা হচ্ছে। তাই এখানে প্রতিদিন তাকে মিষ্টি, আম প্রভৃতি উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার সরবরাহের সুযোগ নেই।’

উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর তিহার কারাগার কর্তৃপক্ষকে কেজরিওয়ালের সার্বিক স্বাস্থ্যগত অবস্থা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে শুনানি শেষ করেছেন আদালত।

আবগারি দুর্নীতির অভিযোগে গত ২২ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)। কেজরির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২১-২২ সালে আবগারি নীতি সংশোধনের মাধ্যমে দিল্লির কয়েকজন মদ বিক্রেতাকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি এবং এর বিনিময়ে ১০০ কোটি রুপি ঘুষ নিয়েছিলেন তিনি।

তবে কেজরিওয়াল এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তিনি আদৌ ঘুষ নিয়েছিলেন কি না— তা নিয়েও সংশয় শুরু হয়েছে, কারণ ওই রুপি কোথায় রাখা হয়েছে— সে সম্পর্কিত কোনো হদিস এখনও বের করতে পারেনি ইডি।

 

 

Share this post

PinIt
scroll to top