কলকাতা প্রতিনিধি( শম্পা দাস ও সমরেশ রায়):- চট্টগ্রাম পরিষদ আয়োজিত, ৬৫ তম বার্ষিক সম্মেলন ও মিলন মেলা। ৭ই এপ্রিল ২০২৪ রবিবার, সকাল সাড়ে নটা থেকে,কলকাতার বিজয়গড়ে অবস্থিত, নিরঞ্জন সদন মঞ্চে, অনুষ্ঠিত হয়,, চট্টগ্রাম পরিষদীয় কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজিত। ৬৫ তম বার্ষিক সম্মেলন ও মিলন মেলা।
এই মহতি মিলনমেলার উদ্দেশ্য, মনীষী, দেশ নেতা, দেশের মুক্তি সংগ্রামের শহীদ ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন। শুধু তাই নয় বেশ কয়েকজন সম্মানিত অতিথিদের সম্বর্ধনা জানালেন।।
অনুষ্ঠান শুরু হয় প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তলন এবং চট্টগ্রাম পরিষদীয় কমিটির পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এবং বীর শহীদদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে, তারপর মঞ্চে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে ও জাতীয় সংগীত গেয়ে এই সুন্দর মহতী অনুষ্ঠান শুরু করেন।,
এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তারা একটা মেলবন্ধন সৃষ্টি করে চলেছেন ৬৫টি বছর ধরে। যারা চট্টগ্রাম থেকে বহুদিন ভারতে এসে বসবাস করছেন, চট্টগ্রামের স্মৃতি ভুলতে পারছেন না, যেভাবে চট্টগ্রামে মানুষের উপরে অত্যাচার হয়েছিল এবং শহীদ বিপ্লদী দেরকে একে একে খুন করা হয়েছিল সেই স্মৃতিকে আগলে রেখে এই চট্টগ্রাম পরিশোধিও কেন্দ্রীয় কমিটি আজও বহন করে চলেছে এই দিনটি, সুন্দর সংগীত নৃত্য ও কবিতার মধ্য দিয়ে, দুই দেশের মেলবন্ধন ঘটালেন, বেশ কিছু স্মৃতি বিজরিত বক্তব্য তুলে ধরেন এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।
উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম পরিষদীয় কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি স্বপন রায় বিশ্বাস, কার্যকরী সভাপতি পীযুষ কান্তি সেন, মুখ্য আহ্বায়ক সুনীল কান্তি সরকার, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চৌধুরী, যারা উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণা দাস চৌধুরী ,অমূল্য রঞ্জন বড়ুয়া ,ডক্টর স্বপন বিশ্বাস ও হিউম্যান রাইটসের তরফ থেকে উৎপল রায়, কৃতি দাশগুপ্ত নমিতা চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
শুধু চট্টগ্রাম পরিষদীয কেন্দ্রীয় কমিটি আজকের দিনের সম্মেলন করেই থেমে থাকেন না, চট্টগ্রামের মানুষদের যে খাওয়ার রীতি বা যে সকল উপকরণ তৈরি হতো, আজ এই অনুষ্ঠানে আসা সকল অতিথিদের সেই রান্না করে খাওয়ালেন ,আর চট্টগ্রাম মানে মানুষের জিভে জল আসে সেখানকার শুটকি মাছের তরকারি।, যাহা না খেলে চট্টগ্রামের কথা মনেই রাখা যায় না, সকলের জীবে জল এনে দেয়, আজ ৬৫ তম বর্ষে সকলকে চট্টগ্রামের খাবার খাইয়ে তৃপ্তি করলেন।
উপস্থিত হয়েছিলেন বিভিন্ন জেলা থেকে সংগঠনের কর্মীরা এবং অন্যান্য সংগঠনের সদস্যরা।
সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে দু একটি কথা তুলে ধরেন, চট্টগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি, যিনিএই সংগঠন তৈরী করেছিলেন, আজ তাদের মধ্যে নাই সরোজ রঞ্জন চৌধুরী মহাশয়ের উদ্দেশ্যে এবং বীর শহীদদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এবং আক্ষেপের মধ্যে জানান এই চট্টগ্রামে বহু নিরীহ মানুষ শহীদ হয়েছিলেন, কিভাবে চট্টগ্রামে মানুষের উপর অত্যাচার হয়েছিল আজও আমরা ভুলতে পারিনি।, চট্টগ্রামে নাই ,কিন্তু চট্টগ্রামের স্মৃতি আমাদেরকে প্রতিমুহূর্ত মনে করিয়ে দেয়। তাই আমাদের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলবো ,এই চট্টগ্রাম পরিষদকে আরো সবার সহযোগিতায় যদি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় এবং শহীদদের জন্য কিছু করা যায়, আসুন আমরা একসাথে মেলবন্ধন ঘটায় ,আমাদের হাত শক্ত করি, আজ এই মিলন উৎসবে একটা জিনিসই চোখে পড়ে যে সকল সদস্যরা এসেছিলেন তার বেশির ভাগই ছিল চট্টগ্রামের বাসিন্দা এবং সকলেই এজ পেরিয়ে গেছে, কারো বয়স ৬০ কারো বয়স ৭০ কেউবা এসেছেন চলার শক্তি না থাকলেও মনের জোরে। শুধু আজকের দিনটিতে চট্টগ্রামের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে