হিন্দু সম্প্রদায়ের দখলে থাকা জমি জবর দখলের চেষ্টা মারধর থানায় অভিযোগ দায়ের।

433796031_478316394524038_8484966491827512706_n.jpg

শেখ শামীমুল ইসলাম, দিঘলিয়া (খুলনা প্রতিনিধি):- খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার ১ নং গাজীরহাট ইউনিয়নের কেটলা নামক এলাকায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের দখলে থাকা জমি জবর দখল করা নিয়ে বিরোধ, আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য দেশী অস্ত্রের মহড়া, মারামারি একজনকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। খুলনা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের কাছে প্রতিকারে এগিয়ে আসতে এলাকাবাসী লিখিতভাবে আবেদন করেছে। দিঘলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দিঘলিয়া উপজেলার ১ নং গাজীরহাট ইউনিয়নের কেটলা মৌজার এসএ খতিয়ানের ৯৮৪ দাগের ৪০ শতাংশ জমি পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা কর্তৃক অধিগ্রহণ হওয়ার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড বেড়ীবাধ নির্মাণ করে।

পরবর্তীতে উক্ত জমির অব্যবহৃত অংশ অধিগ্রহণের পর হতে মৃত দেবেন্দ্রনাথ পাত্রের পুত্র অলোক পাত্র (৪৭) গং ভোগ দখলে আছে। তারা উক্ত জমির দখলের বৈধতার জন্য খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট ইজারার জন্য আবেদনও করেছে। কিন্তু উক্ত জমি জোর পূর্বক দখল ও বালি ভরাটের জন্য গাজীরহাট ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কেটলা গ্রামের মৃত মকিম মোল্যার পুত্র মাসুদ মোল্যা (৪৫) ও মৃত রউফ শেখ এর পুত্র রাজু শেখ (৪৫), ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্যাডাঙ্গা গ্রামের মৃত বজলার বিশ্বাস এর পুত্র মোঃ কামরুল বিশ্বাস সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জন নানাবিধ চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা একের পর এক সংখ্যালঘুদের দখলভুক্ত সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে শান্তি ভাঙ্গের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা প্রতি রাতে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংখ্যালঘুদের মহল্লায় ঢুকে এলাকাবাসীদের বিশেষ করে মহিলাদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এ ঘটনার জের ধরে গত ৬ এপ্রিল বেলা ১ টার সময় অরবিন্দু বিশ্বাস (৭০) কে কেটলা গুচ্ছ গ্রামের সামনে পাকা রাস্তার উপর অবস্থানকালীন সময়ে মৃত রউফ শেখ এর পুত্র রাজু শেখ উত্যক্তমূলক কথা বলতে থাকে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।

একপর্যায়ে তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে মারাত্মক জখম করে।এ ব্যাপারে মৃত দেবেন্দ্রনাথ পাত্রের পুত্র অলোক পাত্র ও অর্দ্ধেন্দু পাত্র দিঘলিয়া থানায় পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন।এলাকাবাসী এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য খুলনা পূজা উদযাপন পরিষদ বরাবর আবেদনও করেছে।

 

 

Share this post

PinIt
scroll to top