কেএমপি’র পুলিশ লাইন্স কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

434836756_730460755928229_5796676025651100382_n.jpg
দেশের তথ্য ডেস্ক।। গত ২৬ রমজান দিবাগত রাতে খুলনা মেট্রোপিলটন পুলিশের উদ্যোগে কেএমপি’র বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্স কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের নামাজ আদায় করা হয় এবং নামাজান্তে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।May be an image of 3 people, headscarf, dais and text that says 'Khulna Metropolitan olice'
লাইলাতুল কদরের নামাজ শেষে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম-বার, পিপিএম-সেবা মহোদয় পুলিশ লাইন্স মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মোঃ আব্দুর আজিজ এবং সম্মানিত হাফেজ মোঃ হেলাল উদ্দিন ও হাফেজ মোঃ তামিম হাসানকে কেএমপি’র পক্ষ থেকে ঈদ উপহার প্রদান করা হয়। তারাবির নামাজের সময় সার্বিক সহযোগিতাকারী পুলিশ সদস্য এএসআই(সঃ) হাফেজ ওমর আহমাদ এবং কনস্টেবল মোঃ রমিম মোল্যার হাতেও পুলিশ কমিশনার মহোদয় সম্মানী তুলে দেন।May be an image of 4 people, headscarf, dais and text
এসময় পুলিশ কমিশনার মহোদয় সংক্ষিপ্ত আকারে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, প্রতি বছর পবিত্র রমজানের ২৬ রোযার দিবাগত রাত মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত। এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়, লাইলাতুল কদরের রাতের ইবাদতে তার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। এই মাসে মহিমান্বিত কোরআনুল কারীম নাযিল হয়েছিলো। আল্লাহপাক রাব্বুল আলামীন যেন এই মহিমান্বিত রাতের উসিলায় আমাদের ইচ্ছায় অনিচ্ছায় কৃত সকল গোনাহ মাফ করে দেন। এই মহিমান্বিত রাতের শিক্ষা নিয়ে ধর্মীয় মতাদর্শের ভেদাভেদ ভুলে মানুষে মানুষে বিরোধ তৈরি না করে শান্তির-সম্প্রীতির দেশ গঠনের জন্য স্রষ্টার নিকট সাহায্য কামনা করেন। আমাদের মাতৃভূমির সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করেন, জাতির জনক সহ তাঁর পরিবার ও জাতির শ্রেষ্ঠ শহীদ সন্তানদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করেন। ফিলিস্তিন যাতে নির্যাতন মুক্ত হয় এবং মুসলমানদের পবিত্র প্রথম কেবলা যেন পুনরায় মুসলমানদের অধিকারে আসে সেজন্য মহান আল্লাহপাকের দরবারে ফরিয়াদ জানান। বাংলাদেশ পুলিশ তথা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহপাকের দরবারে ফরিয়াদ জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য সমাপ্ত করেন। দোয়া ও মিলাদের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা নিজেদের গুনাহ মাফ এবং অধিক সওয়াব লাভের আশায় নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেন।May be an image of 8 people
পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের বক্তব্য শেষে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাতে মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে মহান সৃষ্টিকর্তার দয়া কামনা করে কৃত গোনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। পাশাপাশি বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেক হায়াত, সুস্বাস্থ্য কামনা করে মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অভিভাবক আইজিপি মহোদয়ের সুস্থতা ও নেক হায়াত কামনা করে দোয়া করা হয়। ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের নিপীড়িত সকল মুসলিম উম্মাহর জন্য মহান রবের নিকট দোয়া করা হয়। বাংলাদেশকে সকল দুর্যোগ, দূর্ঘটনা এবং বালা মসিবত থেকে হেফাজত করে বিশ্বের বুকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার তৌফিক দান করার জন্য মহান আল্লাহর নিকট কায়মনোবাক্যে দোয়া করা হয়।
উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) জনাব সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত জনাব মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত জনাব এম.এম শাকিলুজ্জামান; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিবি) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত জনাব বি.এম নুরুজ্জামান, বিপিএম-সহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার-ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

Share this post

PinIt
scroll to top