দেশের তথ্য ডেস্ক।।
মিজানুর রহমান মিন্টু নামে এক প্রতিবন্ধীর ঘরে ঢুকে সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত প্রতিবন্ধী ভাতার জমানো মোট ৭০০০/-(সাত হাজার) হাজার টাকা এবং তার উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ভ্যান গাড়িটি দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া এবং দা’র মুখে জিম্মি করে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। সে বিগত ৮ মাস আগে আশা ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী এনজিও থেকে ২৫,০০০ টাকা ঋণ নিয়ে তার পায়ে চালিত ভ্যানটি মোটর চালিত ভ্যানে রুপান্তর করে। গত ১৪/১৫ বছর যাবৎ সে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। শারীরিক প্রতিবন্ধী মোঃ মিজানুর রহমান মিন্টু তার উপর্জানের একমাত্র মাধ্যম ভ্যানটি হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন বলে জানা যায়।
উক্ত ঘটনায় ভ্যান হারানো শারীরিক প্রতিবন্ধী মোঃ মিজানুর রহমান মিন্টুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে খানজাহান আলী থানার মামলা নং-১৭, তারিখ-৩০/০৩/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৩৯২ পেনাল কোড রুজ করা হয়। এই ঘটনায় খানজাহান আলী থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দিগ্ধ ০২ জনকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে এবং সন্দিগ্ধ ০২ জনের মধ্যে আসামী মোঃ সিরাজুল ইসলাম @ সিরাজ হাওলাদার (৪০) এর দেওয়া তথ্য মতে আসামী মোঃ আব্দুল্লাহ @ ভিরাজ (২৭) কে গ্রেফতার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর ০১/০৪/২০২৪ তারিখ রাত্র ০০.১০ ঘটিকার সময় ভ্যানটি চিংড়ীখালী বাজারের পাশে নানা বাড়ী মোড় সংলগ্ন শাহাবুদ্দিনের মাছের হ্যাচারির পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ভ্যান গাড়িটি উদ্ধার করে।
ঘটনাটি খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মহোদয়কে অবগত করলে পুলিশ কমিশনার মহোদয় ভ্যান হারানো শারীরিক প্রতিবন্ধী মোঃ মিজানুর রহমান মিন্টুকে প্রাথমিক সহায়তা প্রদান করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ শুধু আইন-শৃঙ্খলার রক্ষার কাজেই নিজেদের নিয়োজিত রাখেননি, মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মিন্টুর পরিবারের প্রতি। তারই অংশ হিসেবে আজ ০১ এপ্রিল দুপুর ১২:০০ ঘটিকায় কেএমপি’র সদর দপ্তরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অসহায় অবস্থা থেকে উত্তোরণের লক্ষ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধী মোঃ মিজানুর রহমান মিন্টুকে নতুন ভ্যান উপহার প্রদান করা হয় এবং তাকে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তার ভ্যানটিও উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকৃত পুরাতন ভ্যানটি আদালতের নির্দেশে হস্তান্তর করা হবে যেটি মেরামতের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করে ভাড়া প্রদান করে অতিরিক্ত কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এবং নতুনটি ভ্যানটি দিয়ে সে নিজে উপার্জন করে সংসার নির্বাহ করতে পারবে। মহানগরীর আইনশৃংখলা রক্ষা এবং যানজট নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কেএমপি সাধ্যানুযায়ী মানবিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।