সার্বজনীন পেনশন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির

received_972284387653944-1.jpeg

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃপেনশনের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি।

সম্প্রতি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ ফায়েকুজ্জামান মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ড. বশির উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের স্বার্থের পরিপন্থী। কারণ প্রজ্ঞাপনটিতে ২০২৪ এর জুলাই বা তৎপরবর্তী নতুন যোগদানকৃতরা সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতাভুক্ত হবেন মর্মে জানানো হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপনটি যেমন বৈষম্যমূলক ঠিক একই সাথে অধিকার বিবেচনায় সংবিধানের মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। এই প্রজ্ঞাপন বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির নিকট বৈষম্যমূলক, হতাশাসৃষ্টিকারী, পক্ষপাতদুষ্ট ও চরমভাবে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

এছাড়াও বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতি বলেন,জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা ও দর্শনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এই ধরনের প্রজ্ঞাপনের ফলে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে শিক্ষকতা পেশায় অনীহা তৈরীর সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে সৃষ্ট বৈষম্যের কারণে উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষক সংকট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শিক্ষকদের অমর্যাদা, অবজ্ঞা ও মানসিক নিপীড়নের মধ্যে রেখে কোনো সভ্য জাতির উন্নতি হয়েছে এমন নজির বিশ্বের ইতিহাসে নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব ও সম্মান দিয়েছিলেন এ কারণে তাঁর হাত ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা হয়, তাঁরই সুযোগ্য কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন জাতির পিতার আদর্শের হাত ধরেই। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তিনিও গুরুত্ব দিয়ে চলছেন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার প্রতি।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য এই ধরনের বৈষম্যমুলক সার্বজনীন পেনশন পরিকল্পনা উচ্চ শিক্ষার জন্য যেমন অন্তরায় হবে ঠিক তেমনই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। ধারাবাহিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে ও দেশকে মেধাশূণ্য করতেই এই ধরনের প্রজ্ঞাপন, যা নিঃসন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তীব্রভাবে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করছে এবং শিক্ষক সমিতি উচ্চ শিক্ষাকে আরো গতিশীল, আধুনিকায়ন এবং গবেষণা বান্ধব করার লক্ষ্যে শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের জোর দাবি জানাচ্ছে।

 

দেশের তথ্য ডেস্ক 

Share this post

PinIt
scroll to top