এক অসবর্ণা অ্যান্টনির প্রত্যাবর্তন

সময়ের শপথ ভেঙে এক অগাণিতিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে
যখন অতীত মিশে যায় এ বদ্বীপের শিরা-উপশিরায়,
তখন আমার প্রত্যাবর্তনের জন্যে প্রাচীন সমাধিলিপির অস্ট্রিক অক্ষরেরা সুদীর্ঘ মিছিল বের করে
আর ডানা ঝাপটে দোয়েলের দল এমন সুর কণ্ঠে তোলে যেন
তার লহরিতে রাজদণ্ড হাতে ধর্মপাল পাহাড়পুরের ঢিবি হতে নেমে এসে
আরেকটি বিহার নির্মাণের রাজাজ্ঞা জারি করবেন!

কিন্তু আমার ফেরার জন্যে যে এত প্রত্যাশা তোমাদের;
তার বিপরীতে আসলে কোন পথে ফিরতে পারি আমি?
রেলপথগুলো তো সব প্রাগৈতিহাসিক কালের রাজপথ।
নদীগুলোর শরীর আর পূর্বের মতো আবেদনময়ী নেই
আর বর্তমান মহাসড়কগুলোতেও ভারী যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল!
তবে কি আকাশপথই সবথেকে নিরাপদ?
কিন্তু বিশ্বে তো এখন আকাশ থেকে একইসঙ্গে ফেলা হয় ত্রাণ আর বোমা!

 

 

উপায়ান্তর না পেয়ে পরিশেষে আমি
তোমার মনোজগতকেই পথ হিসেবে বেছে নিলাম!
কিন্তু আমি তো জানতাম না যে তুমি ক্লিওপেট্রার চেয়েও বড় এক ছলনাময়ী!
তাই তোমার নগ্ন কাঁধের ওপর এসে বসা এক উইপোকার ডানা ঝাপটানি দেখে
বিরক্ত হয়ে
তাড়াতে গিয়ে যখনই আমি তোমায় ছুঁলাম;
তখনই মহাপ্রতাপে সদলবলে এক অক্টাভিয়ান এসে আমাকে বানিয়ে দিলো প্রতিটি পত্রিকার শীর্ষ শিরোনাম!

 

 

রাজত্ব গেল, সামর্থ্য গেল,
চলে গেলে তুমিও!
এখন কি আমার পদতল থেকে
সরে যাবে আমার এ বাংলার ভূমিও?

 

 

না;— সরেনি!
কখনো সরবে না ঐতিহাসিকভাবে এ বাংলার মাটি
কোনো বাঙালির পদতল থেকে!
কারণ মীর জাফরের পরে যখন তিতুমীর এসেছে,
তখন তোমার পরেও তো আসবে কেউ:
ঠিক যেমনিভাবে স্থলের মহাকীর্তি নাশ করে
উর্বর পলি রেখে যায় প্রমত্তা পদ্মার ঢেউ!

Share this post

PinIt
scroll to top