চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরের চতুর্থ ও শেষদিনে রানী জেৎসুন পেমাকে নিয়ে কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক। সেখানে ধরলা নদীর তীরবর্তী কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানের জন্য নির্ধারিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রানীসহ ১৪ জন সফর সঙ্গী নিয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরনের পর সড়ক পথে দুপুর সাড়ে ১২টায় কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌঁছাবেন ভুটানের রাজা। সেখানে দুপুরের ভোজ সেরে দেড়টায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন শেষে সড়কপথে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে নিজ দেশে যাবেন তিনি।
এদিকে, অঞ্চলটিতে রাজাকে স্বাগত জানাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, এলাকার বিভিন্ন ম্যুরাল সংস্কার, রং ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ প্রায় শেষ। প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ, রাস্তা। ভুটানের রাজার সফর ঘিরে এলাকায় বিরাজ করছে সাজসাজ রব।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ভুটানকে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে ভুটান বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির উদ্যোগ নেয়। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩৩ একর জমি বেজার কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। আরও ৮৬ একর জমির অধিগ্রহণের বন্দোবস্ত চলছে। এখানে মোট ২১১ একর জমির প্রয়োজন হবে।
প্রসঙ্গত, কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে ভুটানের দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। ফলে, এই পথে পণ্য নিয়ে সহজে যাতায়াত করা যাবে। এ ছাড়া জেলার চিলমারী নৌবন্দরের কার্যক্রম এর সঙ্গে যুক্ত করে এই বিশেষ অঞ্চলকে আরও গতিশীল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
দেশের তথ্য ডেস্ক