আজ ২৬ মার্চ (মঙ্গলবার) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে সকালে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার গৌরবময় ইতিহাস এবং ইতিহাসের জন্য যাদের ত্যাগ অনস্বীকার্য- তা নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। নতুন প্রজন্ম দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ত্যাগের ইতিহাস সঠিকভাবে জানলে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. কামরুল হাসান তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলা ও মানবিক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. রুবেল আনছার। আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. তরুণ কান্তি বোস, অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল আলম হাওলাদার এবং প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী শাফিন ইমতিয়াজ শিহাব।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক ফারজানা জামান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে শিক্ষার্থীদের সংগঠন চেতনা’৭১ আয়োজিত অনলাইন ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পুরস্কার বিতরণ করেন।
এর আগে সকাল ৬টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সামনে কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে শোভাযাত্রা সহকারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য অদম্য বাংলায় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রথম শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপরই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, ডিসিপ্লিনসমূহ, আবাসিক হলসমূহ, শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্রদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্দিরে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- অদম্য বাংলার সম্মুখে দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও প্রশাসন ভবন সংলগ্ন জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল।
দেশের তথ্য ডেস্ক