দ্বিতীয় দিনের শেষ দিকে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা বিশ্ব ফার্নান্দোকে আজ বেশিক্ষণ টিকতে দেননি খালেদ । দিনের তৃতীয় ওভারেই তাকে ফেরালেন টাইগার এই পেসার। ২৪ বলে ৪ রান করে ফেরেন বিশ্ব। এরপর আর সুযোগ দেননি ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। দুজনের ফিফটিতে তিনশ ছাড়াল শ্রীলঙ্কার লিড। লাঞ্চ বিরতির আগে দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬৩ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩৩ রান। ১২৯ বলে ৮৫ রানে ধনাঞ্জয়া ও ৬৯ বলে ৫০ রানে ক্রিজে আছেন কামিন্দু মেন্ডিস। সফরকারীদের লিড ৩২৫ রানের।
বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়ে প্রথম সেশনের শেষ বলে ফিফটি করেন কামিন্দু। প্রায় দুই বছর পর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমে দুই ইনিংসেই পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেললেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। কামিন্দুর আগেই ফিফটি করেন ধনাঞ্জয়া। ধনাঞ্জয়া-কামিন্দুর অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ১৪৫ বলে ১০৭ রান। এতে দ্রুতই বাড়ছে বাংলাদেশের লিড।
এর আগে সিলেট টেস্টে দুর্দান্ত বোলিং করে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে ২৮০ রানে অলআউট করার পর ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়ে বাংলাদেশও। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় নিজিদের প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৯২ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ২১১ রানের লিড পায় লঙ্কানরা। এর মধ্যে তারা হারায় ৫ উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে লঙ্কানদের প্রথম ধাক্কা দেন নাহিদ রানা। প্রথম ইনিংসে যেখানে শেষ করেছিলেন, গতকাল যেন সেখান থেকে শুরু করেন নতুন এই গতি তারকা। গতকাল গতি ও বাউন্সের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণও ছিল তার। ফলে চা বিরতির আগের ওভারে অফস্টাম্পের বাইরে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিয়ে আসেন লঙ্কান ওপেনার নিশান মাদুশকা। বিরতির পর ২১ বছর বয়সী পেসার তুলে নেন কুশল মেন্ডিসকেও। তার বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন কুশল। তার ওই প্রথম স্পেলে প্রতিপক্ষের কোনো ব্যাটারই স্বচ্ছন্দে খেলতে পারেননি।
এর পর দুই স্পিনার মিরাজ ও তাইজুল উইকেট শিকারে যোগ দেন। তাইজুলের ঘূর্ণিতে পরাস্থ হন ম্যাথুজ। ২৪ বলে ২২ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ভাঙে ২৮ রানের জুটি। পরের ব্যাটার চান্দিমালকে টিকতে দেননি মিরাজ। রানের খাতা খোলার আগেই এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন চান্দিমাল। তবে বাংলাদেশের বোলারদের দাপটের এই সময়টাতে টিকে ছিলেন ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে। হাফ সেঞ্চুরি করে শরিফুলের শর্ট বলে ক্যাচ দিয়ে আসেন তিনি।
গতকাল সকালে আগের দিনের ৩ উইকেটে ৩২ নিয়ে ব্যাটিং করতে নেমে গতকাল অবশিষ্ট ৭ উইকেটে আরও ১৫৬ রান যোগ করে বাংলাদেশ। যেখানে সবচেয়ে বড় অবদান নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলামের। ক্যারিয়ার সেরা ৪৭ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ছিল লিটন, শাহাদাত, মিরাজের মতো ব্যাটারদের চেয়ে স্বচ্ছন্দ ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাট চালিয়েছেন তিনি। শেষ দিকে খালেদ ও শরিফুল দুটি করে ছয় মারলে রান পোনে দুইশ পার হয়। তারা দু’জন নবম উইকেটে ৪০ রান যোগ করেন। তাদের জন্যই ১৮৮ রান পর্যন্ত যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
দেশের তথ্য ডেস্ক