সাম্প্রতিক সময়ে অর্থ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিবৃতি

KUET-kg-alksdfjlk.jpg

গত ১৩ই মার্চ ২০২৪ তারিখ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত একটি প্রজ্ঞাপন (এস.আর.ও. নং-৪৭-আইন/২০২৪) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সরকার, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ এর ধারা ১৪ এর উপ-ধারা (২) এর শর্তাংশে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং উহাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যে সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তাহারা যে নামেই অভিহিত হউন না কেন, ১ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে নূতন যোগদান করিবেন, তাহাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করিল।’ এমন বৈষম্যমূলক ও অগ্রহণযোগ্য প্রজ্ঞাপনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি চরমভাবে হতাশ ও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও গবেষণার মূল চালিকাশক্তি। সেই সঙ্গে জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইহা সত্তে¡ও একই বেতন স্কেলে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভিন্ন নীতি অবলম্বন সংবিধানের মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা-দর্শন বিরোধী বলে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে। উল্লেখ্য যে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষা ও গবেষণার মর্যাদাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করেন। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রয়াসে মূল কারিগর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন তখন তাদের সাথে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ এই উচ্চ লক্ষ্য অর্জনকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এই পেনশন নীতি বাস্তবায়িত হলে বর্তমান শিক্ষকগণ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হবেন এবং মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে নিরুৎসাহিত হবেন ফল¯্রুতিতে দেশ মেধা শূন্য হবে। একই সঙ্গে এই অসন্তোষজনক প্রজ্ঞাপন সরকার এবং শিক্ষকগণকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর দুরভিসন্ধি কিনা সেটাও ভেবে দেখা দরকার।
পেনশন ব্যবস্থার এই পরিবর্তনের ফলে শিক্ষক সমাজের মধ্যে যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি পেনশন সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাখ্যান করছে এবং অনতিবিলম্বে এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ সুপ্রশস্ত করার দাবি জানাচ্ছে।

(প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল হাসিব)                                                      (ড. মোঃ আলমগীর হোসেন)
সভাপতি                                                                                                         সাধারণ সম্পাদক
শিক্ষক সমিতি                                                                                                      শিক্ষক সমিতি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়                                খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

 

দেশের তথ্য ডেস্ক

Share this post

PinIt
scroll to top