২৩ মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ, ০৯ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ শনিবার সকাল ১০:৩০ ঘটিকার সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি এবং তথ্য অধিকার সংক্রান্ত অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি এবং তথ্য অধিকার সংক্রান্ত অংশীজন সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব জনাব এ.বি.এম আমিন উল্লাহ নূরী উপস্থিত ছিলেন এবং খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মহোদয় সভাপতিত্ব করেন।
উক্ত আলোচনা সভায় কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয় উপস্থিত সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি তার বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধুকে কোড করে বলেন, “সরকারি কর্মচারীগণ জনগণের সেবক শীর্ষক ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “সমস্ত সরকারি কর্মচারীকেই আমরা অনুরোধ করি, যাহাদের অর্থে আমাদের সংসার চলে তাদের সেবা করুন। যাদের জন্য, যাদের অর্থে আজকে আমরা চলছি তাদের যাতে কষ্ট না হয়, তার দিকে খেয়াল রাখুন। যারা অন্যায় করবে আপনারা তাদেরকে অবশ্যই কঠোর হস্তে দমন করবেন। কিন্তু সাবধান একটা নিরপরাধ লোকের উপরও যেন অত্যাচার না হয়। তাতে আল্লাহর আরশ পর্যন্ত কেঁপে উঠবে। আপনারা সেই দিকে খেয়াল রাখবেন। আপনারা যদি অত্যাচার করেন শেষ পর্যন্ত আমাকেও আল্লাহর কাছে তার জবাবদিহি করতে হবে। কারণ আমি আপনাদের নেতা। আমারও সেখানে দায়িত্ব রয়েছে। আপনাদের প্রত্যেকটি কাজের দায়িত্ব শেষ পর্যন্ত আমার ঘাড়ে চাপে, আমার সহকর্মীদের ঘাড়ে চাপে। এজন্য আপনাদের কাছে আমার আবেদন রইল, আমার অনুরোধ রইল, আমার আদেশ রইল আপনারা মানুষের সেবা করুন। মানুষের সেবার মতো শান্তি দুনিয়ার আর কিছুতে হয় না। একটা গরীব যদি আপনাকে হাত তুলে দোয়া করে আল্লাহ সেটা কবুল করে নেন।” বঙ্গবন্ধুর সেই ৭ই মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ০২ লক্ষ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল এই দেশের পতাকা।
তিনি আরো বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলেন দুর্ঘটনার মূলত কয়েকটি কারণ ওভারলোডিং, ওভার স্পিড ও ওভারটেকিং এই বিষয়গুলো যদি এড়িয়ে চলি তাহলে দুর্ঘটনার প্রবণতা কমে যাবে। একই সাথে এই শহরে সিটি কর্পোরেশনে দশ হাজার ইজিবাইক চলাচলের লাইসেন্স প্রদান করলেও অতিরিক্ত অনেক ইজিবাইক চলাচল করছে। ইতোমধ্যে সিটি কর্পোরেশন ইজিবাইকের বারকোডের ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারলে আমরা দশ হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে পারবো। আমাদের প্রতিটি পুলিশ সদস্য যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। কেএমপিতে ট্রাফিক পুলিশের বডিওর্ণ ক্যামেরা প্রদান করা হয়েছে যাতে করে কোন প্রকার দুর্নীতি করতে না পারে। এক্ষেত্রে সকলে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
এ সময় খুলনাস্থ সকল পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দেশের তথ্য ডেস্ক