নৌকাডুবে আমার সব শেষ হয়ে গেছে

final-20240323161623.jpg

ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি আক্তার, মেয়ে মাহমুদা ও ছেলে রাইসুল। নিখোঁজ সোহেল রানার বাবা আব্দুল আলিম সন্তানের খোঁজে মেঘনা নদীর পারে অপেক্ষা করছেন। এ সময় তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ভৈরব হাইওয়ে থানায় আমার ছেলে কর্মরত ছিল। সে পরিবারসহ বিকেলে ঘুরতে বেরিয়েছিল। নৌকা ডুবে আমার সব শেষ হয়ে গেছে।

গতকাল ২২ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে বালুবাহী বাল্কহেড ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, থানা পুলিশ ও নৌ-থানা পুলিশ। গতকাল রাতে উদ্ধার কাজ বন্ধ থাকার পর শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবুরি দল এসে আবার উদ্ধার কাজ শুরু করেন।

নিখোঁজ বেলন দে এর দুলাভাই পবির দে জানান, আমাদের ৭ জন আত্মীয় ডুবে যাওয়া নৌকাতে ছিল। তাদের মধ্যে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে গতকাল। এখন পর্যন্ত আমার শ্যালক বেলন দে, আরাধ্যা দে ও রূপা দে নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের উদ্ধারে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব থানা এবং ভৈরব, নৌ-থানা পুলিশ কাজ করছে। নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন, ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে (৩০), তার ভাইয়ের মেয়ে আরাধ্য (১২) ও ভগ্নিপতি বেলন দে (৩৮) ও নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮)।কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ভ্রমণ ট্রলারের ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। আমরা জানতে পেরেছি ট্রলারটিতে ২০ জনের মতো যাত্রী ছিল। এদের মধ্যে গতকাল ১২ জনকে উদ্ধার করা হলেও ৮জন নিখোঁজ ছিল।

দেশের তথ্য ডেস্ক

Share this post

PinIt
scroll to top