খুলনা প্রতিনিধিঃ (শাহরিয়ার কবির) খুলনার পাইকগাছায় লতা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য পুলকেশ রায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর দায়িত্বে থাকা কালিন সরকারি রাস্তার ইট তুলে বিক্রয় ও বিভিন্ন বরাদ্দের কাজে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে এলাকাবাসী ২০ মার্চ বুধবার গনসাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ করেছে।
সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, বিগত ২০২৩ সালে অনৈতিক কার্মকান্ডের দায়ে লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস সাময়িক বরখাস্ত থাকেন। সেই সময় লতার ৫নং ওয়ার্ড সদস্য পুলকেশ রায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তখন তিনি কাটামারি বাজার থেকে উত্তর দিকের ১কিঃমিঃ ইটের সোলিং এর রাস্তার প্রায় ৮০হাজার ইট তুলে ফেলেন। যার বাজার মূল্য ৮লক্ষাধিক টাকা। ঐ ইটের মধ্যে কিছু ইট নিয়ে তিনি উত্তর কাটামারি মন্দির সংষ্কারের জন্য সেখানে মজুদ রাখেন। অপরদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পাকা স্টেজ তৈরির জন্য ২লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। যার মধ্যে তৎকালিন স্হানীয় সংসদ সদস্য ১লক্ষ টাকা প্রদান করেন। আর বাকি ১লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা ইউনিয়ন পরিষদের টিআর এর বরাদ্দ । কিন্তু পুলকেশ রায় রাস্তা থেকে খুলে নেওয়া ইট দিয়ে খোয়া তৈরি করে স্টেজের কাজে লাগান। তাছাড়া তিনি বাহিরবুনিয়া মসজিদ সংলগ্ন ব্রীজের বিপরীতে অবস্হিত কাটামারি রাস্তা সংষ্কারের জন্য কাবিটার বরাদ্দকৃত ১ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করে রাস্তা থেকে খুলে নেয়া ঐ ইট রাস্তার কাজে লাগান । কাটামারি অমল কৃষ্ণ ঢালীর বাড়ীর সামনের কালভার্ট নির্মানে ননওয়েজ এর বরাদ্দকৃত অর্থ আত্নসাৎ করে সেখানেও রাস্তা থেকে খুলে নেয়া ঐ ইট ব্যবহার করেন পুলকেশ রায়। এছাড়াও কাটামারি বাজার খেয়াঘাট সংলগ্ন রাস্তা সংষ্কারে উন্নয়ন সহয়তার বরাদ্দকৃত ৮৭ হাজার টাকা আত্নসাৎ করে সেখানেও ঐ ইট ব্যবহার করা হয়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য পুলকেশ রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান কিছু ইট মন্দির ও ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন স্টেজ তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। আর বাকি ইট রাস্তার পাশে রাখা আছে। আমি কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি করিনি। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।
দেশের তথ্য ডেস্ক