গ্রেফতারকৃত আসামী অপহরণ মামলার এজাহারভূক্ত প্রধান আসামী । জানা যায়, ভিকটিম বর্তমানে একটি মহিলা কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী। ভিকটিম ঝিনাইদহ জেলার পৌরসভাধীন একটি কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়তে যায়। বর্ণিত আসামী ব্যক্তিগতভাবে ভিকটিমকে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দেওয়াসহ নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিল। ভিকটিম আসামীর কু-প্রস্তাবে রাজী না হয়ে ঘটনার বিষয়টি তার পিতা মাতাকে অবহিত করে। ভিকটিমের পিতা আসামী তারেক রহমানকে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে বললে আসামী তারেক রহমান ক্ষিপ্ত হইয়া ভিকটিমকে অপহরণ করার জন্য অন্যান্য আসামীদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। গত ইং ০৭ মার্চ ২০২৪ তারিখ ভিকটিম প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ী হইতে ঝিনাইদহ পৌরসভাধীর সরকারী কে.সি কলেজের পশ্চিম পাশ্বে কোচিং সেন্টারের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছালে মামলার আসামী মোঃ তারেক রহমান পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অপহরণ পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। অতঃপর, বর্ণিত বিষয়ে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে মোঃ তারেক রহমান(২০) এর বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় একটি অপহরণ ও সহায়তা করার বিষয়ে মামলা দায়ের করেন।
এরই ধারাবাহিকতায়, বর্ণিত মামলার প্রধান আসামী মোঃ তারেক রহমানকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন হামদহ বাইপাস এলাকায় উক্ত আসামীর অবস্থান সনাক্ত করা হয়। অদ্য ১৭ মার্চ ২০২৪ তারিখ র্যাব-৬ ঝিনাইদহ এর একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, অপহরণকারী দলের মূলহোতা মোঃ তারেক রহমান ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার হামদহ বাইপাস এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ ০৩:১০ ঘটিকার সময় ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন হামদহ বাইপাস এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম শোভা খাতুন(১৭)কে উদ্ধারসহ উক্ত অপহরণ চক্রের মূলহোতা ১। মোঃ তারেক রহমান(২০), পিতা- মোঃ ওবায়দুর রহমান সাং- কেষ্টপুর, থানা- ঝিনাইদহ সদর ও জেলা- ঝিনাইদহকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।