দেশের তথ্য ডেস্ক।।সাফের আরও একটি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রতিপক্ষ ভারত। আরও একবার খেলা গড়াল টাইব্রেকারে।
এবার অবশ্য টস নাটকীয়তা হয়নি। বরং টাইব্রেকারে ভারতকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিটের খেলা ড্র ছিল ১-১ গোলে।
রাউন্ড রবিন লিগে সবগুলো ম্যাচ জিতে সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। সেখানে ভারতকে অনায়াসেই হারায় মেয়েরা। নেপালের এএনএফএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ফাইনালে অবশ্য শুরুতে বাংলাদেশের মনে ভয় ধরিয়ে দেয় ভারত। কেননা ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই আনুশকা কুমারীর গোলে এগিয়ে যায় তারা। সেই গোল শোধ দিতে বেশ কাঠখড় পোহাতে হয় বাংলাদেশকে। অবশেষে ৭১তম মিনিটে আসে সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। বীথির কর্নার থেকে প্রথম স্পর্শেই ভারতের জাল কাঁপান মরিয়ম। তাতে ম্যাচে প্রাণ ফিরে পায় বাংলাদেশ।
মাসখানেক সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারত। নির্ধারিত সময়ের পর টাইব্রেকারেও দুই দলকে আলাদা করা যায়নি। এরপর নিয়মের বাইরে গিয়ে ম্যাচ কমিশনারের সিদ্ধান্ত টসের আয়োজন করেন রেফারি। সেখানে ভারত জিতে গেলেও টসের সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল তা স্বীকার করে নেন ম্যাচ কমিশনার। পরে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন করা হয় দুই দলকে।
এবার অবশ্য তেমন কোনো নাটকীয়তা হয়নি। পেনাল্টি শুটআউটে প্রথম শট নিতে গিয়ে মিস করে বসেন বাংলাদেশের সুরভী আকন্দ প্রীতি। উল্টো দিকে প্রথম শটে গোল পেয়ে যায় ভারত। তবে তাদের তিনটি শট ঠেকিয়ে বাজিমাত করেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম। প্রথমে ডান দিকে দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান আলিনার শট। তৃতীয় শট নিতে আসা বনিফিলিয়ারের শটও আটকে দেন তিনি। এরপর পঞ্চম শটে দেবযানীকে গোলবঞ্চিত রেখে বাংলাদেশকে উল্লাসে ভাসান এই গোলরক্ষক। তার বিশ্বস্ত হাতে ভর করেই শিরোপা উঁচিয়ে ধরে বাংলাদেশ।
এদিকে টাইব্রেকারে বাংলাদেশের হয়ে গোল তিনটি করেন মরিয়ম, থুইনুই মারমা ও সাথী মানদা। আসরে ৫ গোল করে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশের প্রীতি। এছাড়া সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার উঠেছে ইয়ারজানের হাতেই।