বেনাপোল বন্দরে মাছের কার্টুনে থ্রি-পিসের চালান।

.jpg

মিলন হোসেন বেনাপোল।। যশোরের বেনাপোল বন্দরে চোরাচালান প্রতিরোধে স্থাপিত পন্য স্ক্যানিং মেশিনটি দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকার সুযোগে আবারো মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বৈধ আমদানি পণ্যের সাথে চোরাচালান বেড়েছে। গতকাল শনিবার (১০ মার্চ) রাতে আমদানিকৃত মাছের ট্রাক থেকে থ্রি-পিসের একটি চালান জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পণ্য চালানটির আমদানিকারক লাকি এন্টার প্রাইজ। কাস্টমস থেকে এ চালানটি খালাস করছিলেন সোনালী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্সী লিমিটেডের প্রোপ্রাইটর খালিদ হাসান শান্ত।এর আগেও একাধিকবার এধরনের পণ্য চালান আটক করেছে কাস্টমস। একটি সূত্র জানায়, গোঁপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়,গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ভারত থেকে মাছবাহী একটি ট্রাকে বিপুল পরিমাণ ঘোষনা বহির্ভুত গার্মেন্টস সামগ্রী বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। এ সময় ওই ট্রাকটি তল্লাশী করে বেশকিছু গার্মেন্টস সামগ্রীর থ্রি-পিস জব্দ করে কাস্টমস সদস্যরা। তবে ঘটনার সাথে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, আমদানিকারক বা সহযোগী কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়সারাভাবে ব্যবস্থা নেয়ার কারনে থামছেনা এসব অনিয়ম। এদিকে কাস্টম-ইমিগ্রেশনের বহির্গমন পাশে স্ক্যানিং মেশিনটি প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকায় এরুটেও স্বর্নসহ মুল্যবান সম্পদ পাচার হয়ে যাচ্ছে ভারতে। এদিকে সাধারন ব্যবসায়ীরা জানান, বৈধপন্যের সাথে ঘোষণা বহির্ভুত পন্যের চোরাচালান বৃদ্ধি পাওয়ায কিছু অসৎ ব্যবসায়ী লাভবান হলেও সাধারন ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। মাছ বহনকারী ভারতীয় ট্রাক চালক আলমগীর জানান, তার মাছের ট্রাক থেকে কাস্টমস থ্রি-পিসের চালান উদ্ধার করেছে। তবে কারা এসব উঠিয়েছে তিনি জানেন না। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান,স্ক্যানিং মেশিন নষ্ট থাকায় নিরাপদ বানিজ্য ঝুকিতে পড়ছে। বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান,স্ক্যানিং মেশিনগুলো চালু করতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার হাফিজুল ইসলাম জানান, চোরাচালান প্রতিরোধে স্ক্যানিং মেশিনগুলো চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।

Share this post

PinIt
scroll to top