দেশের তথ্য ডেস্ক।। যশোর মনিরামপুর এলাকায় যৌথ অভিযানে মানব পাচার মামলার প্রধান পলাতক আসামীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬। আসামীগণ একটি সংঘবদ্ধ মানব পাচার দালাল চক্রের সদস্য। আসামীগণ ভিকটিমের নিকটাত্মীয় এবং পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুবাদে ভিকটিমকে মালয়েশিয়া পাঠানোর নাম করে সর্বমোট ৪,৫০,০০০(চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে, ভিকটিমকে চুক্তি অনুযায়ী মালয়েশিয়া পাঠানোর ব্যবস্থা করলেও মূলত তাকে একটি চক্রের কাছে তুলে দেয়। উক্ত চক্রটি মালয়েশিয়া অবস্থানরত থেকে ভিকটিমকে মালয়েশিয়া গমন পরবর্তী কোন প্রকার কাজের ব্যবস্থা না করে একটি আবদ্ধ কক্ষে আটকে রাখে। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত আসামীগণ বিভিন্ন ছলচাতুরী ও মিথ্যা আশ্বাসের মাধ্যমে ভিকটিমকে মালয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট করে দেওয়ার নাম করে পুনারায় ভিকটিমের পিতার নিকট হতে আরও ৬০,০০০(ষাট হাজার) টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা নিজ সন্তানের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে গ্রেফতারকৃত আসামীগণ কোন প্রকার সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হয়। এছাড়া ভিকটিমের পিতা বারবার চেষ্টা করেও নিজ সন্তানের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়। ভিকটিমের পিতা ছেলের কোন প্রকার সন্ধান না পেয়ে নিজে বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ১লা মার্চ র্যাব-৬, ঝিনাইদহ এবং যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার মানব পাচার মামলার অন্যতম প্রধান পলাতক আসামীসহ আরও দুইজন আসামী যশোর জেলার মনিরামপুর থানাধীন শৈলি গ্রামস্থ এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি বিকাল সাড়ে ৩ টায় যশোর জেলার মনিরামপুর থানাধীন শৈলা গ্রামস্থ এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মানব পাচার মামলার প্রধান পলাতক আসামী ১। মোঃ রুবেল হোসেন (৩৩), পিতা- মোঃ মোস্তাক আহমেদ, ২। মোঃ মোস্তাক আহমেদ (৪৮), পিতা-মৃদ সাহেদ আলী, ৩। মোঃ ইমদাদুল হক (৪৭), পিতা-মৃত ইসমাঈল সর্দার, সর্ব সাং-শৈলি, থানা-মনিরামপুর, জেলা-যশোরদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীগণদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীগণদের ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।