শেখ শামীমুল ইসলাম, দিঘলিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি।। দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটিতে নির্মাণাধীন রাস্তার কাজ শুরু করার পর সামান্য বৃষ্টিতে ভেঙ্গে পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্র থেকে জানা যায়, সুগন্ধী ৪ রাস্তার মোড় থেকে সেনহাটি সরিষাপাড়ার সাবুতলা মন্দির পর্যন্ত রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। ১৪০৭ মিটার এ রাস্তার দুই পাশে এইচবিবি সহ রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। দিঘলিয়া উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর এলজিইডির অর্থায়নে ৭৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮ টাকা ২৫ পয়সা ব্যয়ে এ রাস্তাটির দুই ধারে এইচবিবি’র নির্মাণ কাজ সহ রাস্তাটির নির্মাণ কাজ চলমান। উক্ত নির্মাণাধীন রাস্তাটির সুগন্ধীর ৪ রাস্তার মোড় থেকে ৮৯৭ মিটার পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে .৫ মিটার করে চওড়া এবং ৮৯৭ মিটার থেকে ১৪০৭ মিটার পর্যন্ত রাস্তার এক পাশে.৫ মিটার ও বিপরীত পাশে ১ মিটার করে চওড়া এইচবিবি (সাইড ওয়াল) নির্মাণসহ রাস্তাটি সংস্কারের কাজ চলমান। বর্তমানে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ মূল ঠিকাদারের নিকট থেকে জনৈক সাব কন্ট্রাক্টর কিনে এনে কাজ শুরু করেছে। সাইড ওয়ালিং এর কাজ শুরু করার পর বৃষ্টি হওয়ার কারণে সাইড এইচবিবি কোথাও বসে পড়েছে কোথাও সাইডে ভেঙ্গে পড়েছে। রাস্তার এ সাইড ওয়াল ভেঙ্গে পড়ার কারণ জানিয়েছে রাস্তার পাশে প্রয়োজনীয় সাইড ওয়ালের মজবুদ ও টেকসই কাচা রাস্তা বা ফুটপাত নেই। আলগা মাটির ওপর সাইড ওয়াল নির্মিত রাস্তার জন্য হুমকি স্বরূপ যা সরকারি অর্থের অপচয়ের সামিল বলে এলাকাবাসীর অভিমত। এক সূত্র থেকে জানা যায়, কোন রোডে এ ধরণের সাইড ওয়াল নির্মাণ করতে হলে প্রয়োজনীয় পরিমাপে রাস্তার দুই ধারে মাটি ফেলে রাস্তাটি প্রশস্ত করার জন্য কিছু সময় রেখে দেওয়া। সাইড ওয়ালের কাজ চলমান রাস্তার দুই ধারে অনেক জায়গায় মাটির লেশমাত্র নেই। এভাবে হুমকির মুখে তড়িঘরি করে সাইড ওয়াল নির্মাণ করা হলে আসন্ন বর্ষা মৌসুম অতিক্রম করার আগেই রাস্তাটির অনেক জায়গায় ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া উপজেলা প্রকৌশলী আবু তারেক সাইফুল কামাল এ প্রতিবেদককে জানান, যতক্ষণে রাস্তাটির সাইড ওয়াল মজবুদ ও টেকসই অবস্থানে না দাঁড়াবে ততক্ষণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে তাদের পাওনা বিল পরিশোধ করা হবেনা। আর সাইড ওয়ালের হেজিং থেকে দেড় ফিট করে মাটির রাস্তা সম্প্রসারিত করা হবে। আর সে কাজ এ ঠিকাদারই করবে। তিনি আরও জানান রাস্তার মজবুদ ও টেকসই অবস্থান যাচাই না করে ঠিকাদারের ফাইনাল বিল দেওয়া হবেনা।