সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।। মেরিন একাডেমিতে ৩৫তম স্থান অধিকারী শামীম কবির নিরবের ভর্তির দায়িত্ব নিলেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী। গতকাল দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে শামীম ও তার মায়ের হাতে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা তুলে দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সজিব খান।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সজিব খান বলেন, ‘মেধায় টিকেও মেরিন একাডেমিতে ভর্তিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল শহরের চা বিক্রেতার ছেলে শামীমের। টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছে না শামীম এমন একটি সংবাদ জেলা পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে।
তিনি বলেন, ‘সংবাদটি দেখার পর আমি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকীকে জানালে তিনি তার ভর্তির সব খরচ বহনের সিদ্ধান্ত নেন। রোববার দুপুরে শামীম এবং তার মায়ের হাতে এক লাখ ২০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তার সব প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এসব মেধারীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এলে এসব ছাত্ররা অভাবের কারণে হারিয়ে যাবে না।’ ওরা বিকশিত হয়ে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ভর্তির টাকা হাতে পেয়ে শামীম জানায়, ‘পুলিশ সুপার আমার ভর্তির টাকা দিয়েছেন। এজন্য ওনার ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতাজ্ঞতা জানাচ্ছি। সাতক্ষীরার এসপি আমার স্বপ্নপূরণ করলেন। তিনি যদি আমার ভর্তির টাকা না দিতেন তাহলে স্বপ্নের মেরিন একাডেমিতে হয়তো ভর্তি হতে পারতাম না। এ ছাড়া অনেক মানুষ আমার সহযোগিতা করতে চেয়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
শিক্ষার্থীর মা আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘ছেলের ভর্তির টাকা দিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই সজিব খান স্যারকে স্যারের নজরে আসার সাথে সাথে তিনি এভাবে এগিয়ে এসেছেন তার প্রতি আমার পরিবার চির কৃতজ্ঞ থাকবে। তাছাড়া ধন্যবাদ জানাই কয়েকজন হৃদয়বান ব্যক্তি পড়াশোনার জন্য মাসিক খরচ দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের প্রতি। আমাদের ছেলে মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশের সেবায় কাজ করতে পারে সবার কাছে সেই দোয়া চাচ্ছি।’
তার পিতা সিদ্দিকুর রহমানও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।