বিটিআরসির কমিশনার ও টেলিটকের এমডিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক।। দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে সহজ শর্তে জাইকার ১৬৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার ঋণ থেকে সরকারকে বঞ্চিত করার অভিযোগে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সাবেক কমিশনার আমিনুল হাসান এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড ও টেলিটকের এমডিসহ ৮ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সাবেক কমিশনার আমিনুল হাসান, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিটিসিএলের সাবেক পরিচালক-১ মশিউর রহমান, বিটিসিএলের টিএনডি প্রকল্পের সাবেক ডিই-৫ মো. আতাউর রহমান, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহাব উদ্দিন, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের বর্তমান মহাব্যবস্থাপক ও বিটিসিএলের সাবেক পরিচালক মো. আজম আলী, বিটিসিএলের সাবেক পরিচালক মাকসুদুর রহমান আকন্দ, বিটিসিএলের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক অশোক কুমার মন্ডল এবং বিটিসিএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজ উদ্দিন আহমদ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট (টিএনডি) প্রজেক্ট টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সর্বনিম্ন দরদাতাকে বাদ দিয়ে নিজেদের পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে কাজ করেছেন। সেটা করতে গিয়ে আসামিরা প্রাক-যোগ্যতা মূল্যায়নের নির্ণায়ক পরিবর্তন, মূল দরপত্র আহ্বানের দুই মাস পর প্রাক্কলন নির্ধারণসহ ক্রয় আইন-বিধি ও জাইকার গাইডলাইন অনুসরণ না করে অহেতুক কালক্ষেপণ করেছেন। যে কারণে আগ্রহ হারিয়ে ২০১৫ সালের ৭ মে মাত্র ০.০১ শতাংশ সহজ শর্তের সুদের ১৬৪ কোটি ৫২ লাখ ১৫ হাজার টাকার ঋণ-প্রস্তাব ফেরত নিয়ে যায় দাতা সংস্থা জাইকা। এর মাধ্যমে দেশকে বড় একটি ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং দেশের আর্থিক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১, ৫১১, ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

Share this post

PinIt
scroll to top