বৈবাহিক কারণে স্ত্রীর স্বজনদের হাতে জীবন দিতে হয়েছে মাহফুজকে

-২.jpg

 শেখ শামীমুল ইসলাম, দিঘলিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি।। দিঘলিয়ার আতাই নদী থেকে উদ্ধার করা লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম মোঃ মাহফুজ মন্ডল (১৯)। নিহতের মা মোসাঃ নারগীস আক্তার শিপ্রা বাদী হয়ে দিঘলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোসাঃ নারগীস আক্তার শিপ্রার পুত্র মোঃ মাহফুজ মন্ডলের সাথে ৩ বছর পূর্বে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া থানার গিমাডাঙ্গা গ্রাম এপি সাং বেজপাড়া টিবি ক্লিনিকের পাশে শাহিনা মান্নানের ভাড়াটিয়া যশোর কোতওয়ালী থানার মোঃ শামসুল আলমের কন্যা সানজিদা আকতার সুমী ওরফে অন্তরার পূর্ব থেকে প্রেমজ সম্পর্কের জের ধরে বিবাহ হয়। কিন্তু নিহত মাহফুজ মন্ডলের স্ত্রী অন্তরার স্বজনরা এ বিবাহের স্বীকৃতি দেয় না। তারা এ বিবাহ মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বিভিন্ন সময় তাকে হত্যা করার হুমকি দেয়। নিহতের স্ত্রী অন্তরার ভাই মোঃ শরীফুল ইসলাম সবুজ (৩৫), মোঃ সাইফুল ইসলাম জুয়েল (৩১) ও মোঃ সাকিবুল আলম (২২) অজ্ঞাত ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে অভিনব কৌশলে মাহফুজকে ধরে নিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করার মানসে নদীতে ফেলে দিয়েছে বলে নিহতের মা দাবী করেছেন। উল্লেখ্য নিহত মাহফুজ মন্ডল মোসাঃ নারগীস আক্তার শিপ্রার পূর্ব স্বামী মৃত আলম মন্ডলের পুত্র জাহিদ হোসেনের ছোট পুত্র। মোঃ নয়ন মোন্ডল (২৩) বড় পুত্র। শিপ্রার দুই সন্তানসহ পার্বের স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে নয়ন মন্ডল ও মাহফুজ মন্ডল নানা বাড়ি থেকে বড় হয়। মা নারগীস আক্তার শিপ্রার কুষ্টয়া জেলার মীরপুর থানার হিলিরাম পুরে বিবাহ হয়। তার বর্তমান স্বামীর নাম মোঃ আল আমীন। অভিযোগে আরো জানা যায়, নিহত মাহফুজ মন্ডল গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯ টার সময় বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি। এদিকে দিঘলিয়ার সেনহাটি ফাঁড়ি পুলিশ স্থানীয় আতাই নদীতে লাশ ভাসার সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে যায়। লাশের পরিহিত প্যান্টের পকেটে থাকা স্ত্রীর ফোন নম্বরে সেনহাটি ফাঁড়ি পুলিশের আইসি এস আই মোঃ হাসান আলী ফোন দিয়ে লাশ উদ্ধারের কথা জানান। এদিকে খুলনা নৌ পুলিশ লাশের ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এদিকে খবর পেয়ে নিহত মাহফুজের স্বজনরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে লাশ নিয়ে দাফন কার্য সম্পন্ন করে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দিঘলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Share this post

PinIt
scroll to top