সৈয়দ আবুল কাসেম দিঘলিয়া ।। দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কাটানিপাড়া বটতলা পুকুরে মাছ ধরা ও পুকুরের মালিকানা নিয়ে সংঘটিত সংঘর্ষে উভয় পক্ষে ৪ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও সেনহাটি ফাঁড়ি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারী সকালে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কাটানিপাড়া বটতলা সংলগ্ন সরকারি খাস জমির পুকুরের মালিকানা ও দখল নিয়ে শরিফুল ইসলাম ও টুটুলের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। সেনহাটি মৌজার ২ থেকে ২.৫ বিঘা জমির উপর উক্ত পুকুর। উক্ত জমির পুকুরসহ জমিন খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। যে কারণে উক্ত জমির মালিকানা দাবী করে একই এলাকার পুরহিত নারান ঠাকুরের পুত্র টুটুল (৪৫) আদালতে মামলা করেছে। এদিকে উক্ত খাস জমির ডিসিআর কেটে জমির মালিকানা দাবী করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ছুটা ছুটি করছিল। তারই ধারাবাহিকতায় শরিফুল ও মনিরুল লোকজন নিয়ে উক্ত পুকুরের মাছ ধরে। এ সময় মোজাফ্ফর (৪০) ঘটনাস্থলে এলে তার সাথে শরিফুলগং বাক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বাকযুদ্ধ থেকে সংঘাত শুরু হয়। এ সময় মোজাফ্ফরের পুত্র মাহফুজ (১৮) এগিয়ে এলে শরিফুলগং তার উপর চড়াও হয় এবং ধারালো রামদা দিয়ে তাকে কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে।
খবর পেয়ে সেনহাটি ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলায় উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা হয় দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ বাবুল আক্তারের সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান জমির মালিকানা নিয়ে পূর্ব থেকেই দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। আজ শরীফুল ও তার ভাই মনিরুল লোকজন নিয়ে উক্ত জমির পুকুরে মাছ ধরে। এ সময় মোজাফফর ও তার পুত্র মাহফুজের সাথে মারামারি হয়। মারামারিতে ৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কোনো পক্ষই অভিযোগ দায়ের করে নি। আহতরা হাসপাতালে। দুই পক্ষ মারামারি করেছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।