শাহরিয়ার কবির, নিজস্ব প্রতিবেদক।। খুলনার পাইকগাছায় কাচ্চি বাড়ীতে মিলবে শান্তি মিলবে প্রশান্তি স্লোগানে পৌরসদের অবস্থিত কাচ্চি বাড়ী রেস্টুরেন্টে পঁচা মাংশের কাচ্চি বিরিয়ানি বিক্রির অভিযোগ তোপের মুখে পড়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র আলামিন সহ তার দুই বন্ধু আবির ও সাজু মিলে পাইকগাছা পৌরসদের নতুন রেস্টুরেন্ট কাচ্চি বাড়ীতে বিরিয়ানি খেতে যান। ঐ সময় তাদের তিন বন্ধু কে প্লেটে করে বিরিয়ানি খেতে দেওয়া হয়। তবে খাওয়ার সময় বিরিয়ানি তে পঁচা মাংশের গন্ধ পেয়ে তারা কর্তৃপক্ষ কে জানান। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানা মাত্রই তাদের দেওয়া পঁচা মাংশের বিরিয়ানি বদলে দিয়ে নতুন করে বিরিয়ানি দেন। আর পঁচা মাংশের ঐ বিরিয়ানি ফেলে দিতে যান।
এসব দেখে তিন বন্ধুর চিৎকার ও চেঁচামেচিতে আশে পাশের ব্যবসায়ী সহ পথচারীরা কাচ্চি বাড়ি ঘেরাও করে রাখেন। কাচ্চি বাড়ির আশপাশের ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের বলেন আমাদের এই পঁচা মাংস প্রতিনিয়তই খাওয়াচ্ছে।এই কাচ্চি বাড়ি বিরিয়ানি হাউস প্রশাসনের কাছে দ্রুত সিলগালা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এনার বাড়ি বরিশালে সেখান থেকে এসে আমাদের পাইকগাছায় ব্যবসা করছে তাও আবার পঁচা মাংস খাওয়াচ্ছে ।এনাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত শুধু জরিমানা করলে চলবে না। দুইদিন পরে আবারো একই অবস্থা হবে ,তাই আমরা জনসাধারণ এই কাচ্চি ঘর বন্ধ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। এখানে তিনটা বিরানির ঘর করেছেন। প্রতি ঘরে এমন পঁচা মাংস খাওয়াচ্ছে।ঐ মালিকের আরো দুটি ঘর আছে বলে স্থানীয় সূত্র মতে জানা যায়।
এ বিষয় জানতে পেরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরিফুজ্জামান ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।
ঐ সময় উপস্লোথিত কজন কাচ্চি বিরিয়ানি হোটেল মালিকের কাছে পঁচা মাংশ না মরা গরু/ছাগলের মাংশ জানতে চেয়ে গোলোযোগ সৃষ্টি করতে থাকে। ঐ সময় খবর পেয়ে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আল-আমিন সহ স্থানীয়রা কাচ্চি বাড়ি রেস্টুরেন্ট মালিক আক্তার হোসনের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ঘটনার বিষয়ে প্রশাসন সহ উপস্থিত তার সম্মুখে কাচ্চি বাড়ি রেস্টুরেন্টের মালিক আক্তার হোসেন বলেন,তিনি বড়দল থেকে মাংশ আনেন মরা কি পঁচা জানেন না। এ বিষয়ে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর উদয় কুমার মন্ডল জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার ভূমি মোঃআরিফুজ্জামান বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে হোটেল মালিক কে ৪০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।