দেশের তথ্য ডেস্ক।। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহান জাতীয় সংসদের খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন এবং সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এস এম কামাল হোসেন বলেন, “মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ সমাজকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে, এসবের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য লেখাপড়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ, খেলাধুলাও তেমনী প্রয়োজনীয়”। সভাপতির বক্তৃতায় কুয়েট ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার বলেন, “খেলাধুলা নিয়মানুবর্তিতা শিক্ষা দেয়, শিক্ষা দেয় সহনশীলতার। শিক্ষার্থীদের মানষিক বিকাশের জন্য ক্রীড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ”।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া ও পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মতিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সহকারী পরিচালক মনোজ কুমার মজুমদার। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্টগণ, কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মচারীবৃন্দসহ স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিকালে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া, সভাপতিত্ব করেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মতিন এবং সঞ্চালনা করেন জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সহকারী পরিচালক মনোজ কুমার মজুমদার। অতিথিবৃন্দ দীর্ঘসময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আকর্ষনীয় ক্রীড়াশৈলী উপভোগ করেন এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। ৩৫ টি ইভেন্টে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় ব্যক্তিগত ইভেন্টে ছাত্রদের মধ্যে শোয়েব হাসান এবং ছাত্রীদের মধ্যে তানজিলা পারভীন এ্যামি চ্যাম্পিয়ন হয়। এছাড়া ফজলুল হক হল চ্যাম্পিয়ন ট্রফি এবং লালন শাহ হল রানার-আপ ট্রফি লাভ করে।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্ট শুরু হয়। ক্রীড়া প্রতিযেগিতার ইভেন্টগুলোর মধ্যে ছিল বিভিন্ন ধরণের দৌড়, উচ্চ লাফ, লাফ ধাপ ঝাপ, দীর্ঘ লাফ, চাকতি নিক্ষেপ, গোলক নিক্ষেপ, বর্ষা নিক্ষেপ, ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ, রিলে রেস, ভাগ্য দৌড়, ধীরে সাইকেল চালনা, ভারসাম্য দৌড়, অন্ধের হাড়ি ভাঙ্গা, যেমন খুশি তেমন সাজো, দড়ি টানা-টানি ইত্যাদি।