সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা: সারা দেশে যখন সরস্বতী পুজো ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হচ্ছে, অন্যদিকে হবু চাকুরি প্রার্থীরা ধরনা মঞ্চে সরস্বতী পুজো করলেন। ১৪ই ফেব্রুয়ারী বুধবার, সারাদেশে সরস্বতী পুজো ও ভ্যালেনটাইন ডে পালিত হচ্ছে, সকাল থেকেই ছেলে মেয়েরা কলেজ ক্যাম্পাসে, স্কুলে এবং ইনস্টিটিউটে ভীড় জমিয়েছে, শুধু তাই নয় কলকাতার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভিড় জমিয়েছে, ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবকেরা, কি একে অপরকে গোলাপ দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন ভালোবাসার দিনটি। নতুন জামা কাপড় পড়ে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে অপেক্ষারত।, অন্যদিকে দেখা গেল, বিভিন্ন বাড়ীর লোক যখন সরস্বতী পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছেন, ঠিক সেই সময় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে, ডাব্লু বি , সি এস এস সি বঞ্চিত গ্রুপ সি এবং ডি ওয়েটিং চাকরী প্রার্থীরা সরস্বতী পুজো করছেন।রিতি মতো নিয়ম মেনে, আজ তাদের ৩৫২ দিন অতিবাহিত হয়েছে, এই ধর্ণা মঞ্চে। তাহারা জানালেন কি করব, আজ সবাই সরস্বতীর কাছে প্রার্থনা করছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের চাকরিটা যেন হয়, আর আমরা এখানে ধর্ণা দিয়ে থাকতে চাই না। যাহারা আমাদের চাকরিগুলো বিক্রি করে দিয়েছে, তাদের শাস্তি চাই ,তাদের জন্যই আজ আমরা এই পথে বসে দিন কাটাচ্ছি, আজ অনেকে বাড়ীর বাবা-মা, ভাই বোন ছেড়ে এখানে বসে থাকতে হচ্ছে, অবিলম্বে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি হোক। আমাদের সঠিক বিচার চাই, তাই আজ সরস্বতীর কাছে সেই কামনাই করলাম। তাড়াতাড়ি আমাদের দিকে মুখ ফেরান। আজ যেমন সকাল থেকেই স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরা সেজেগুজে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভিড় জমায়ে জমিয়েছেন তেমনি আমরা বেশ কয়েকটি বাড়ি ও স্কুল ও ইনস্টিটিউট এর পুজোকে ও ক্যামারা বন্দী করলাম, সকাল থেকেই ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীরা মাস্টারমশাইয়ের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন এবং তারা পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। খাতা পেন পেন্সিল রেখে সরস্বতী মা এর কাছে প্রার্থনা করেছেন ,আমাদের বিদ্যা দাও বুদ্ধি দাও। পড়াশোনার মধ্য দিয়ে আরো জ্ঞানের পথ দেখাও, স্কুল ও বাড়ীতে দেখা গেল নিষ্ঠা পড়ে পূজা পাট চলছে, যেমন….. কাঁকুড়গাছিতে অতনু হাজরার স্কুলের পুজো, ব্যারাকপুরে প্রোডাকশন হাউসের পুজো, বরানগরে বিশ্বাস বাড়ীর পুজো, বড়িশায় ঘোষ বাড়ীর পুজো, শ্যামনগরের সর্বভারতীয় আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট স্কুলের পুজো, বড়িশা হাই স্কুলের পুজো সহ অন্যান্য পুজো মেতে উঠেছিল সকাল থেকেই। পুজোকে কেন্দ্র করে সারা কলকাতা মাতলো আনন্দে উৎসবে , ছাত্র ছাত্রীরা জানালেন, আগে স্বরস্বতী মায়ের কাছে প্রার্থনা করি , পুষ্পাঞ্জলী দিয়ে তারপর আমরা বেরোবো বন্ধু বান্ধব মিলে সারাদিন হই হুল্লোড় করতে আনন্দ করতে, । প্রতিটি দর্শনীয় স্থানে বিশাল লাইন, ভারতীয় জাদুঘর, চিড়িয়াখানা, বিড়লা তারামণ্ডল , ভিক্টোরিয়া , আউট ট্রাম ঘাট, ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড প্রভৃতি স্থানে। প্রশাসনের অফিসাররা হিমশিম খাচ্ছেন, রাস্তা পারাপার করাতে, এবং নির্দিষ্ট জায়গা থেকে গাড়িতে উঠানোর জন্য। সতর্ক দৃষ্টিতে নজর রাখছেন , যাতে কোনরকম বড় দুর্ঘটনা না ঘটে।