দেশের তথ্য ডেস্ক।। যশোরে রেলষ্টেশন এলাকায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর জুম্মান হত্যাকান্ডের অন্যতম ০৩ জন হত্যাকারী যশোর সদর হতে ও নড়াইল হতে একজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬, যশোর।
র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্প গোপন সূত্র ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গত ইং ১১/০২/২০২৪ তারিখ রাতে জানতে পারে যে, চাঞ্চল্যকর জুম্মান হত্যা মামলার অন্যতম আসামী শুভ (৩২) ও সবুজ (২৮) যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন টিবি ক্লিনিক মোড় এলাকায় আত্মগোপনে আছে। প্রাপ্ত তথ্যোর ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে আভিযানিক দলটি ইং ১১/০২/২০২৪ তারিখ রাত ২২.৫০ ঘটিকার সময় উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার ৫নং আসামী ১। শুভ (৩২), পিতা- রবি, সাং- টিভি ক্লিনিক মোড়, ৬নং আসামী ২। সবুজ (২৮), পিতা- ইমান আলী ড্রাইভার, সাং- বেজপাড়া বিহারি পট্টি, থানা- কোতয়ালী মডেল, জেলা- যশোরদ্বয়কে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে আভিযানিক দলটি সংবাদ প্রাপ্ত হয় যে, অত্র হত্যা মামলার ৯নং আসামী মোহাম্মদ (২২) যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন কুইন্স হাসপাতালের সামনে অবস্থান করছে। তাৎক্ষণিক আভিযানিক দলটি কুইন্স হাসপাতালের সামনে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ৩। মোহাম্মদ (২২), পিতা- বাবু আলী, সাং-পুলেরহাট কৃষ্ণবাটি, থানা- কোতয়ালী মডেল, জেলা- যশোরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং তারা জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা ছিল এবং ঘটনার দিন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে যশোর রেলষ্টেশনে তারা একত্রিত হয়েছিল ভিকটিম জুম্মান (৩৪) কে হত্যা করার জন্য।
র্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ক্যাম্পের অপর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ডিএমপি ঢাকার মিরপুর থানার মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী চন্দন কুমার ঘোষ (৩৩) নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানাধীন লুটিয়া এলাকায় আত্মগোপনে আছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে আভিযানিক দলটি উক্ত এলাকায় ইং ১২/০২/২০২৪ তারিখ সময় ভোর রাত ০৪.১৫ ঘটিকার সময় অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী চন্দন কুমার ঘোষ (৩৩), পিতা- বনবিলাস ঘোষ, সাং- লুটিয়া, টায়ারপট্টি, হাজীবাড়ী, দীপনগর, থানা- লোহাগড়া, জেলা- নড়াইলকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, গত ইং ১২ জুন ২০১৮ তারিখে হেরোইন সহ ডিএমপি ঢাকার মিরপুর থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে তিন মাস জেল হাজতে থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে নিজ এলাকায় এসে পুনরায় মাদক ব্যবসা অব্যাহত রাখে। তার বিরুদ্ধে নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানায় মামলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।