যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত যশোর জেলার শার্শা থানাধীন কুখ্যাত মাদক কারবারি মো: আব্দুর ওহাব’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৬

rab-6.jpg

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত যশোর জেলার শার্শা থানাধীন কুখ্যাত মাদক কারবারি মো: আব্দুর ওহাব’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৬

দেশের তথ্য ডেস্ক: ডিএমপি, ঢাকার রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের মামলার আসামী মোঃ আব্দুর ওহাব (৫৮) এর বিরুদ্ধে অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষে ঘটনার সাথে আসামী মোঃ আব্দুর ওহাব (৫৮) এর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ইং ২২/০১/২০২০ তারিখ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড সহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ডের সাজা প্রদান পূর্বক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। উক্ত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর র‌্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের গোয়েন্দা দল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। গোয়েন্দা সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ইং ২১/০১/২০২৪ তারিখ গভীর রাতে র‌্যাব-৬, যশোর ও র‌্যাব-৪, সাভার ক্যাম্পের যৌথ আভিযানিক দল ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন হেমায়েতপুর নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ আব্দুর ওহাব (৫৮), পিতা-মৃতঃ বরকত উল্লাহ, সাং-নাভারন রেল বাজার, থানা-শার্শা, জেলা-যশোরকে গ্রেফতার করে |গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, গত ইং ১২ জুলাই ২০১২ তারিখে বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিল সহ ডিএমপি ঢাকার রমনা থানা এলাকা হতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু হয়। উক্ত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী প্রায় পাঁচ মাস জেল হাজতে থাকার পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্তি লাভ করে নিয়মিত বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা না দিয়ে নিজেকে আত্মগোপন করে। সে আরো জানায়, সীমান্তে বসবাস হওয়ার সুবিধায় খুব সহজে অল্প মূল্যে মাদকদ্রব্য ক্রয় করে যশোর সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশি মূল্যে মাদক সরবরাহ/বিক্রি করে থাকতো। গ্রেফতারকৃত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। উক্ত মামলায় জামিনে এসে পুনরায় মাদক ব্যবসা অব্যাহত রেখেছিল। তার বিরুদ্ধে ডিএমপি ঢাকার বাড্ডা ও আদাবর থানার ০২ টি মাদক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। পরবর্তী আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে যশোর জেলার শার্শা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Share this post

PinIt
scroll to top