খুলনায় স্বর্ণ চোরাচালান ও দস্যুতার সাথে জড়িত থাকায় গ্রেফতার ৪
মহানগর প্রতিনিধি:- খুলনায় স্বর্ণচোরাচানান ও দস্যুতার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি খুলনা মেট্রোপলিটনেের অধীনস্থ লবণচরা থানার জিডি নং-৪২৬ মূলে দুপুরে মোবাইল টিম-৩ ডিউটিরত লবণচরা থানাধীন সাচিবুনিয়া বিশ্বরোড মোড়ে চেকপোস্ট চলাকালীন সময়ে উক্ত থানার ভুতপূর্ব এসআই(নিঃ) মোঃ মোস্তফা জামান সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, গত ১১ জানুয়ারি টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেসের একটি বাসে অবৈধ স্বর্ণের বার নিয়ে একজন ব্যক্তি খুলনা মহানগরীতে প্রবেশ করছে। উক্ত গোপন সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে ভুতপূর্ব এসআই(নিঃ) মোঃ মোস্তফা জামান সঙ্গীয় এএসআই(নিঃ) মোঃ আহসান হাবিব ও কনস্টেবল ৫৫২৮ মোঃ মুরাদ হোসেন যোগসাজসে মোহাম্মদনগর সাচিবুনিয়া বিশ্বরোড মোড়স্থ রূপসা ব্রীজ হইতে জিরো পয়েন্টগামী মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে বৈদ্যুতিক খুটির সামনের পাকা রাস্তার উপর চেকপোস্ট বসিয়ে ডিউটি পরিচালনা করে। তখন পুলিশ দেখে অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি টুঙ্গীপাড়া পরিবহন থেকে নেমে সন্দেহজনকভাবে দ্রুত হেটে যেতে থাকে। তখন তাকে দাঁড়ানোর জন্য বললে উক্ত আসামী দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় দুপুর ২ ঘটিকার সময় তাকে গ্রেফতার কর হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে পালানোর কারণ জিজ্ঞাসা করলে এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে যে তার নিকট স্বর্ণের বার রয়েছে। অতঃপর আসামী শ্রী ব্যাসদেব দে(৩৯) এর পরিহিত জিন্স প্যান্টের বেল্টের নিচে এবং জিন্স প্যান্টের বর্ডার কেটে সুকৌশলে বানানো গোপন পকেটে রক্ষিত অবস্থায় খাকি স্কচ টেপ দ্বারা মোড়ানো ৬টি স্বর্ণের বার, আসামি নিজ হাতে বের করে এসআই(নিঃ) মোঃ মোস্তফা জামানের কাছে দেয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামী শ্রী ব্যাসদেব দে কে ভুতপূর্ব পুলিশ সদস্যরা ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে ৩পিচ স্বর্ণের বার কেড়ে নেয় এবং ১নং আসামী শ্রী ব্যাসদেব দে‘র নিকট থাকা ৩পিচ স্বর্ণের বারসহ তাকে ছেড়ে দিয়ে এগিয়ে দিতে সহযোগিতা কর।ধৃত ১নং আসামীকে স্বর্ণের বার চোরাচালানের মাধ্যমে এনে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রাখায় The Special Power Act, 1974 Gi 25 B(1)(A) ধারার অপরাধ করেছে এবং এজাহার নামীয় ২নং আসামী মোঃ মোস্তফা জামান, ৩নং আসামী মোঃ আহসান হাবিব ও ৪নং আসামী মোঃ মুরাদ হোসেন ১নং আসামীর নিকট হইতে ৩ পিচ স্বর্ণের বার ভয়ভীতি প্রদর্শণ পূর্বক ঘটনাস্থল হইতে কেড়ে নেয়ার অপরাধে। পেনাল কোডের ৩৯২ ধারার অপরাধ করার কারণে বাকি ৩ টি স্বর্ণের বার উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা করে ও ধৃত আসামীদের জব্দকৃত আলামতসহ থানায় এসে এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এ সংক্রান্তে স্বর্ণের বার চোরাচালানকারী ১নং আসামী শ্রী ব্যাসদেব দে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক অপরাধের সাথে তার জড়িত থাকার বিষয়টি বর্ণনা করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এ সংক্রান্ত ব্যাপারে কেএমপি অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে এবং অপরাধী যেই হোক না কেন বা অপরাধীর পরিচয় যাই হোক না কেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সর্বদা অঙ্গিকারবদ্ধ। কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত অপরাধের দায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুলিশ বিভাগ বহন করে না। উক্ত স্বর্ণ চোরাচালান ও দস্যুতার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রচলিত ফৌজদারি আইনে মামলা রুজু করার পাশাপাশি তাদেরকে গ্রেফতারপূর্বক যথা নিয়মে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনা সংক্রান্তে আসামিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ এবং অন্য কেউ উক্ত ঘটনায় জড়িত আছে কিনা তার রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামিদের ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। স্বর্ণ চোরাচালান ও দস্যুতার সঙ্গে আর কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে বলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৩ জানুয়ারি মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান পিপিএম-সেবা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ সমস্ত তথ্য জানানো হয়।