পৌর আ.লীগের সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদকের পর বগুড়ায় নৌকায় ভোট চাওয়ায় আরও চার নেতাকে তলব

borguna.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক:- 

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্য হয়েছে। নৌকায় ভোট চাওয়ায় এবং প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী সভায় উপস্থিত থাকায় পৌর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কৈফিয়ত তলব করা হচ্ছে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় প্যাডে দপ্তর সম্পাদক ফিরোজ কামাল ফারুক স্বাক্ষরিত দুটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে নৌকার পক্ষে প্রচারণা করায় এবং নির্বাচনি সভায় যেসব নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন তাদেরকে দল থেকে অব্যাহতির হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন।

গত বুধবার নন্দীগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বকুল হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমানকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি এবং কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে কৈফিয়ত তলব করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার পৌর আওয়ামী লীগের দুটি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে তলব করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। তারা হলেন- ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি আয়নাল হক, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ, ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি শাহজাহান আলী ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।

নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বকুল হোসেনসহ নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে কাজ করছে। তার বিরুদ্ধে সংগঠনের কার্যক্রমে অনুপস্থিত, নিস্ক্রীয় থাকায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, সবই ভিত্তিহীন। নির্বাচনের সময় নৌকার পক্ষের নেতাকর্মীদেরকে অব্যাহতি ও কৈফিয়ত তলব করা মানে জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিরোধিতা, নৌকার হারানোর প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিরোধিতা। উপজেলা আওয়ামী লীগ বারবার দলের নির্দেশনা, দলীয় শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করছে। এরা নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। প্রথম শ্রেণির পৌরসভার কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়।

পৌর আওয়ামী লীগের ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, এখানকার আওয়ামী লীগে অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি ডা. জিয়াউল হক মোল্লার পক্ষে ঈগল মার্কার কাজ করতে বলেছিলো উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। তাদের কথামতো কাজ না করে নৌকায় ভোট চেয়েছি এবং দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী সভায় উপস্থিত থাকি, এজন্য দল থেকে অব্যাহতির হুমকিসহ তলব করছে।

পৌর আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি আয়নাল হক বলেন, আমি দল করি আওয়ামী লীগ, বিএনপি নেতার ঈগল মার্কায় ভোট কেন চাইবো? উপজেলা আওয়ামী লীগ অব্যাহতি বা তলব যাই করুক, নৌকার পক্ষেই থাকবো।

নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ফিরোজ কামাল ফারুক বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের দুটি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা দলীয় পদ-পদবী ব্যবহার করছে। অনুমোদনকৃত কমিটির কাগজ প্রমাণসহ ৭দিনের মধ্যে উপজেলা শাখার দপ্তর সেলে জমা দিতে তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

Share this post

PinIt
scroll to top