দেশের তথ্য ডেস্ক:-
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৃত্তির চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত নিজস্ব ফান্ড থেকে মেধাবী, অস্বচ্ছল ও খেলোয়াড় শিক্ষার্থীদের ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশীপ-২০২৩ প্রদান করা হয়েছে।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি’র সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আসাদুজ্জামান, বিএনসিসি রেজিমেন্ট কমান্ডার ল্যাফটানেন্ট কর্ণেল মোঃ কামরুল ইসলাম, কুমিল্লা স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান এবং কুবি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন. এম. রবিউল আউয়াল চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মুহ. আমিনুল ইসলাম আকন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আজকের এই দিনটিকে আমাদের সবার জন্য বিশেষ করে তুলেছে বৃত্তিপ্রাপ্তরা।
বাংলাদেশে সম্ভবত আমরাই প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, যারা ভর্তি পরীক্ষার আয় থেকে তহবিল গঠন করে মেধার স্বীকৃতি এবং অন্তর্ভূক্তি বৃদ্ধির জন্য এই বৃত্তি চালু করেছি । দ্বিতীয়বারের মতো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করতে পেরে আমরা আনন্দিত। একাডেমিক লাইফে শিক্ষার্থীরা যে সাফল্য, প্যাশন, অধ্যবসায় প্রদর্শন করেছে তার স্বীকৃতিস্বরূপ এই স্কলারশীপ তাদেরকে দেয়া হচ্ছে। গতবছর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম নতুন বছরে আরও বৃহৎ পরিসরে বৃত্তি দিবো, আমি সে কথা রেখেছি। এই বছর স্কলারশিপের সংখ্যা প্রায় ৪০% বৃদ্ধি সহ স্পোর্টস স্কলারশীপ চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। কারণ আমরা সামগ্রিক (holistic education)এ বিশ্বাস করি যা একাডেমিক মান বৃদ্ধির পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। স্কলারশীপ প্রোগ্রাম গতবছর শুরু করেছিলাম এবং এটি এখানে শেষ নয়। একাডেমিক মেধার স্বীকৃতি দিতে এই প্রোগ্রাম চলমান থাকবে বলে আশা করছি।
উপাচার্য আরও বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে উদ্ভাবনে নেতৃত্ব, সমাজের ক্ষমতায়ন, উন্নয়নের অগ্রগতি, মানব কল্যাণ, সম্প্রদায়কে সমৃদ্ধকরণ এবং টেকসই প্ল্যানেট গঠনে ভূমিকা রাখা উচিত। তিনি বলেন শিক্ষা হওয়া উচিৎ গঠনমূলক, অর্থপূর্ণ, অংশগ্রনমূলক ও জীবনভর। তিনি আরও বলেন, আমরা ডিপ লার্নিং, অথেনটিক লার্নিং, এক্সপেরিয়েন্টিয়াল লার্নিং এবং ক্রিটিকাল
থিংকিংয়ের বিকাশকে সমর্থন করি। আমরা পাঠ্যপুস্তক ও ক্লাসরুমের বাইরে আজীবন শেখার আবেগকে জাগিয়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের সাথে অভিযোজন করতে পারবে এবং নিজেদেরকে নেতৃত্বস্থানীয় পদে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে জাতীয় ও বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য সম্পদ হিসেবে অবদান রাখবে।
তিনি আরও বলেন, গত দুই বছরে নানা সূচকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এর প্রভাবে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষে রয়েছে। শিক্ষার্থী বিহীন বিশ্ববিদ্যালয় কার্যকর হয়না, তাই শিক্ষার্থীদের মেধার চর্চা, দেশপ্রেম, ও নৈতিকতা চর্চার মাধ্যমে দেশ ও সমাজের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অবদান রাখার জন্য উপাচার্য সকল শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান