কৃষকদের কাল হয়েছে অকাল বৃষ্টি

khoti.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক:- 

কটিয়াদী উপজেলার নিচু জমিতে পানি জমে থাকায় সদ্য লাগানো আলুর বীজ পচে যেতে পারে, অধিকাংশ সরিষার ক্ষেত নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কৃষকদের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। প্রকৃতির কাছে অসহায় কৃষকের চোখ দিয়ে ঝরছে পানি। চাষিদের চেখের পানি আর অকাল বৃষ্টির পানি যেন মিলেমিশে একসাথে একাকার হয়ে গেছে।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে অকাল বৃষ্টিতে ধানসহ রবিশষ্যের ক্ষতির আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় দিন গুনছে কৃষকরা। এখনও উপজেলার প্রায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ধান কাটা বাকি। যে ধান কেটে রাখা রয়েছে জমিতে, তা ঘরে তোলা হয়নি। তার আগেই নিম্নচাপের বৃষ্টির পানিতে ভাসছে সোনালি পাকা ধান।

উপজেলার চারিপাড়া গ্রামের কৃষক রতন চন্দ্র বলেন, ধারদেনা করে দেড় বিঘা জমিতে ব্রি-৪৯ জাতের আমন আবাদ করেছি। ফলন ভালো হওয়ায় আশা ছিল ২৫ থেকে ৩০ মণ ধান পাব। কিন্তু বৃষ্টির কারণে পাকা ধান গাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এখন সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১০ মণ ধান পাওয়া যাবে। এতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে।

একই গ্রামের কৃষক আল আমিন বলেন, এক বিঘা জমির ধান কেটে জমিতে শুকানোর জন্য ফেলে রেখেছিলাম। টানা বর্ষণে সেসব ধান জলমগ্ন হয়ে পড়ে রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না এলে বেশিরভাগ ধান নষ্ট হয়ে যাবে।

উপজেলার আলু ও সরিষা চাষিরা জানান, অকাল বৃষ্টির কারণে তাদের আলু ও সরিষার ক্ষেত নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এত বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সরকারের সহযোগিতা ছাড়া তাদের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো বা পুনরায় চাষ করা মুশকিল।

উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম ভূঞা জানান, উপজেলায় ১২ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে। তাই বৃষ্টিতে ধানের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি, তবে রবি শষ্যের ক্ষতি হয়েছে। যে সকল জমিতে পানি জমে আছে তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে ও ছাত্রাকনাশক স্প্রে করলে ফসলের ক্ষতি কমে আসবে।

Share this post

PinIt
scroll to top