দেশের তথ্য ডেস্ক:-
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা দ্বিতীয় পর্যায়ের অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে আজ সোমবারও সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছেন।
আজ অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান বলেছেন, সরকার গণআন্দোলনে দিশেহারা হয়ে এখন হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছে। তারা জনতার ওপর দলন-পীড়ন চালিয়ে একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায়।
তবে বীরজনতা সরকারের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় রাজপথে নেমে এসেছে। তিনি সরকারকে সময় থাকতে শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ এবং কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান। অন্যথায় পরিণতি শুভ হবে না।
তিনি আজ রাজধানীর মিরপুরে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে এবং বিগত তিন দিনের অবরোধ চলাকালে সরকারের হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ৪৮ ঘণ্টার টানা অবরোধের সমর্থনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মিরপুর অঞ্চল আয়োজিত এক বিক্ষোভ-পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর-২ শিক্ষা অধিদফতরের সামনে থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জনতা হাউজিং-এর সামনে এসে পথ সভার মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য মোহাম্মদ আবু নকীব, এ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ, হাবিবুল্লাহ রুমী, আব্দুর রকীব ও রিমন তমাল, ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান ও তানভীর প্রমুখ।
মাহফুজুর রহমান বলেন, নৈশভোটের সরকারের অগণতান্ত্রিক ও নৈরাজ্যবাদী মানসিকতার কারণেই দেশ এখন প্রায় আন্তর্জাতিকভাবে বন্ধুহীন। বিশ্ব সংস্থাগুলোও আমাদের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শরু করেছে। ফলে নন্দিত জাতি এখন অনিশ্চিত গন্তব্যে। সরকারের অপরিনামদর্শী সিদ্ধান্তের কারণেই বৈদেশিক বাণিজ্যে ভাটির পড়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহে শুরু হয়েছে মন্দাভাব।
বৈদেশিক রিজার্ভ প্রান্তিক পর্যায়ে নেমে এসেছে। দেশে চলছে তীব্র ডলার সঙ্কট। এমতাস্থায় দেশ ও জাতিকে এই ক্রান্তিকাল থেকে উদ্ধার করতে হলে অগণতান্ত্রিক সরকারের পতন ঘটিয়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি সরকারকে জুলুম-নির্যাতন ও বিরাজনীতিকরণের পথ পরিহার করে অবিলম্বে পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান। তিনি আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ সকল জাতীয় নেতার নিঃশর্ত মুক্তিও দাবি করেন।
মিরপুর ১৩-এ রাজপথ অবরোধ
কাফরুল অঞ্চলের উদ্যোগে মিরপুর ১৩ নম্বর এলাকায় রাজপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জামায়াতের কর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী ডা: ফখরুদ্দীন মানিক। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ও মিরপুর পূর্ব থানার আমীর টুটুল, অঞ্চল টীম সদস্য আলাউদ্দিন মোল্লা, আব্দুল মতিন খান, অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম, রেজাউল করিম, আহসান হাবীব, আতিক হাসান, আশিক, আলী হাসান, মেহেদি, রেজাউল, নূরুল আমীন, আনিস, জাকির ও পরশ প্রমুখ।
তেজগাঁওয়ে রেললাইন অবরোধ
হাতিরঝিল-তেজগাঁও অঞ্চলের উদ্যোগে আজ ৬ নভেম্বর সকাল ৭টায় তেজগাঁও রেলগেট অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জামায়াতের কর্মীরা। ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকারের নেতৃত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য এম জে রহমান, নোমান আহমেদি, এম আব্দুল্লাহ, আলাউদ্দিন ও সাবেক ছাত্রনেতা কলিম উল্লাহ প্রমুখ।
জামায়াত পল্লবী জোনের অবরোধ
পল্লবী অঞ্চলের উদ্যোগে মিরপুর ১২ নম্বরে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জামায়াতের কর্মীরা। ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত অবরোধে আরও উপস্থিত ছিলেন পল্লবী উত্তর থানা আমীর সাইফুল কাদের, রূপনগর থানা আমীর আবু হানিফ, পল্লবী মধ্য থানা সেক্রেটারি জোবায়ের হোসাইন রাজন, রূপনগর থানা সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেন, যুবনেতা হাসানুল বান্না চপল, ছাত্রনেতা মো: তাইয়ান ও আব্দুল কাদের প্রমুখ।
উত্তরায় অবরোধ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উত্তরা অঞ্চলে অবরোধে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মো. আবু ফারহান। উপস্থিত ছিলেন উত্তরা ও তুরাগের আমির, নায়েবে আমীর ও সেক্রেটারিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।