দেশের তথ্য ডেস্ক:-
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ করেছেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী হাশেম রেজা। তিনি দেশবিরোধীদের নগ্ন সন্ত্রাস, মানুষ হত্যা, দেশে কোনো কারণ ছাড়াই সহিংসতা-অরাজকতা করে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা, লুটপাটসহ চলমান উন্নয়নধারা বাধাগ্রস্তকারীদের অবৈধ হরতালের প্রতিবাদে শনিবার শান্তি সমাবেশ করেন।
রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকালে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য এবং দুটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক-প্রকাশক চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আ.লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী জননেতা হাশেম রেজা জনগণের উদ্দেশে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।
হাশেম রেজা বক্তব্য শুরুর আগেই শনিবার বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী নৈরাজ্যে নিহত পুলিশ সদস্যসহ যারা নিহত হয়েছেন, তাদের রুহের মাগফিরাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এরপর তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের বলেন, ৭১-এর পরাজিত শক্তি, স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তারা বর্তমান সরকারের উন্নয়নধারা বাধাগ্রস্ত করে দেশি-বিদেশিদের সহযোগিতায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে নিজেদের মনগড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে দেশে মানুষ হত্যা, সহিংসতা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, যানবাহনে আগুন লাগিয়ে এক অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের জানা নেই হরতাল দিয়ে আর শেখ হাসিনার সরকারকে দমন করা যাবে না।
বিএনপি-জামায়াত এ দেশের হাজার হাজার মানুষের সম্পদ নষ্ট করছে, বহু মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। এসব কারণে কী করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় তাদের ঠাঁই হবে? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসংখ্যবার দেশের স্বার্থে কারাবরণ করেছিলেন; তারপরও পশ্চিম পাকিস্তানের কাছে মাথানত করেননি। তাই বলি, অবৈধ হরতাল দিয়ে দেশে আর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশে শান্তি বজায় রাখুন।
দর্শনা থানা আওয়ামী লীগ নেতা নজর আলী মাস্টারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হাশেম রেজা আরও বলেন, চলমান উন্নয়ন দেশের বিভিন্ন সেক্টরে পৌঁছে গেছে। আমাদের মমতাময়ী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন, সেগুলো বিশ্বদরবারে আজ বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। তাই সব ভেদাভেদ, মান-অভিমান ভুলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে হলে নৌকার কোনো বিকল্প নেই।
শান্তি সমাবেশে ব্যাপক উপস্থিতির মধ্যে ছিলেন উথুলী ইউনিয়ন আ.লীগ ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি সরফরাজ আলী, নতিপোতা ইউনিয়ন আ.লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী, জুড়ানপুর ইউনিয়ন আ.লীগ সহসভাপতি আইন উদ্দিন মেম্বার, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন আ.লীগ ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, হাসাদহ ইউনিয়ন আ.লীগ সদস্য আক্তারুজ্জামান আক্তার, জীবননগর পৌর যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি জসিমউদ্দীন মিন্টু, নতিপোতা ইউপির সদস্য ও আ.লীগ নেতা পিজির আলী, আশরাফুল মেম্বার, মদনা ইউনিয়ন আ.লীগের প্রবীণ নেতা সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবেদ বিশ্বাস, উথুলী ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা হাবেল মণ্ডল, বেগমপুর ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা মোসলেম উদ্দিন, আ. রাশেদ, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা সিরাজ শেখ, আবু বক্কর, সাইদুর রহমান, কুড়ুলগাছি আদর্শ কৃষক সমবায় সমিতির সভাপতি ও ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মন্টু, মদনা ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা আ. কুদ্দুস, রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা যুবলীগ নেতা সাকিল আহমেদ, শাহাবুদ্দিন খান, জাহাঙ্গীর আলম, তরিকুল ইসলাম, সবুজ মল্লিক, পবন কুমার বিশ্বাস, শাহিন আক্তার, আ. রাজ্জাক, রুবেল হোসেন, সাজেদুর, মিন্টু, জাহিদুল ইসলাম, আলম বিশ্বাস, গড়াইটুপি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. ফজলু, যুবলীগ নেতা লক্ষ্মীপুরের সাইদুর রহমান, কার্পাসডাঙ্গা যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম, আলফাজ উদ্দিন মন্টু, আলামিন, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মহাসিন আলী, জিন্নাত আলী, নেহালপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সুমন হোসেন, যুবলীগ নেতা রবিউল হক, তারিকুল ইসলাম, লিটন, কুরবান, আলাউদ্দিন, আজাদ, কালু, মনিরুজ্জামান, ছাত্রলীগ নেতা রনজু, আলামিন, রকি, সৌরভ, শুভ, সুজন, সজীব, মাসুম, রিমন, মান্নান, পিনু, আবু জাহিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জীবননগর উপজেলা যুবলীগ নেতা জেবা।