দেশের তথ্য ডেস্ক:-
গত আট দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের লক্ষীপুর জেলা কার্যালয়ের কর্মচারী তামান্না বেবী (২৬)। নিখোঁজের দিন থেকে এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও। পরিবার বলছে, গত বুধবার অফিসের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয় তামান্না। এরপর আট দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত আর বাসায় ফেরেননি তিনি। এ ঘটনায় লক্ষীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন তামান্নার পিতা হাবিবুর রহমান। ডায়েরী নম্বর ১১১৪। যদিও এখন পর্যন্ত তার সন্ধান পায়নি পুলিশও।
এদিকে চরম উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে তার পরিবার। পরিবার জানায়, গত বুধবার সকাল ১০ টার দিকে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয় এবং অফিস শেষে এখন অবদি আর বাসায় ফিরেনি তামান্না। সম্ভাব্য সবস্থানে এবং আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি বাড়ি খোঁজ নিয়েও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও সেদিন থেকে বন্ধ রয়েছে।
নিখোঁজ তামান্নার ভাই মাহবুবুর রহমান জানান, আমরা তার অফিসের আশপাশের সিসিক্যামেরা দেখেছি। কিন্তু তাতেও তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। আমার বোনের কারও সাথে কোনো ঝামেলাও কখনো শুনিনি। পুলিশও চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে আমাদের। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো খবরই পাইনি। বুঝে উঠতে পারছি না তার সঙ্গে কী ঘটেছে। অফিসে সে একাই কাজ করতো। অন্য এমন কেউ নেই, যারা নিখোঁজের দিন তার বিষয়ে তথ্য দিতে পারবে।
ভোক্তা অধিদপ্তরের লক্ষীপুর জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা সহকারী পরিচালক নুর হোসেন বলেন, আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। সিসি ক্যামেরা দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য জানা যায়নি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার ব্যক্তিগত বিষয়ে কোনো সমস্যার কথাও কখনো বলেনি। অত্যন্ত বিনয়ী এবং ভদ্র। কাজের বাইরে কোনো কথাও বলতে চাইতো না। ওর সাথে কী ঘটেছে আমরাও বুঝে উঠতে পারছি না। পুলিশও চেষ্টা করছে বলেছে। আমি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন। এছাড়া আমাদের বিভাগীয় কার্যালয়সহ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্যারকেও জানিয়েছি।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান আমার সংবাদকে বলেন, ঘটনাটি আমরা জেনেছি। তার পরিবার থানায় জিডিও করেছে। পুলিশ তার সন্ধানে কাজ করছে। আমি কথা বলেছি। আমাদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তার সঙ্গে আবার কথা বলবো। পুলিশের সঙ্গেও কথা বলবো।
লক্ষীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন আমার সংবাদকে বলেন, চেষ্টার কমতি নেই। কিন্তু তার নিখোঁজের বিষয়ে কিছুই জানা যাচ্ছে না। আমরাও বুঝে উঠে পারছি না কোথায় গেল? তার অফিস জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভেতরে, সেখানকার সিসি ক্যামেরায় তার প্রবেশ এবং বাহিরের দৃশ্য দেখা গেছে। আর কিছুই জানা যাচ্ছে না। তবুও আমাদের চেষ্টা চলছে।