রামপালে কিশোরীকে গণধর্ষণের একঘন্টার মধ্যে আসামি আটক

rampal.jpg

রামপাল প্রতিনিধি
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী গনধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার ১ ঘন্টার মধ্যে অভিযূক্ত ৩ যুবকের ২ জনকে গ্রেফতার করেছে রামপাল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ২ যুবক উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের ফরহাদ হোসেনের পুত্র শেখ রাসেল হোসেন (২৬) ও কালেখারবেড় গ্রামের আজমল হোসেনর পুত্র রাকিব হোসেন সজল (২৫) । পলাতক অপর আসামি উপজেলার মাহবুবুর রহমানের পূত্র রহমত আলী (২০) । তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষিতার মামা শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে রামপাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ২৫, তারিখ ৩০/০৯/২০২৩ ।
জানাযায়, শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে আসামীরা ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে প্রথমে অপহরণ ও পরে বিকালে এক ঘেরের টং ঘরে ধর্ষণ করে । এই ঘটনায় আটককৃতদের শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

রামপাল থানা অফিসার ইনচার্জ এস, এম, আশরাফুল আলম সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান,
ঘটনার দিন ২৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) উপজেলার ফয়লাহাট কামাল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ওই ছাত্রী নিজ বাড়ি থেকে ফয়লা হাটে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে আসে, পরে শরিরীক সমস্যার কারণে তার মামা শরিফুল ইসলামের বাড়িতে যাওয়ার পথে আনুমানিক বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে রনসেন মোড় পৌছালে গোবিন্দোপুর এলাকার মাহাবুবরের পুত্র রহমত আলী (২০) ও ফরহাদ শেখের পুত্র রাসেল শেখ (২৬) মটর সাইকেলে উঠিয়ে বড় দুর্গাপুর পুটিমারি গ্রামের পলাশের ঘেরের টংঘরে নিলে পূর্বে থেকে ওতপেতে থাকা উপজেলার কালেখার বেড় গ্রামের আজমল হোসেনর পুত্র রাকিব হোসেন সজল (২৫) সহ ওই ৩ জন যুবক একত্রিত হয়ে ভিকটিমকে জোর পূর্বক গণধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে রাত ৭ টায় মহেন্দ্রযোগে শিক্ষার্থীকে তার নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। শিক্ষার্থী বাড়িতে পৌঁছে তার পরিবারকে পুরো ঘটনা খুলে বলে। পরে ধরষিতার মামা বাদী হয়ে রামপাল থানায় একটি ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
ওসি এস,এম, আশরাফুল ইসলাম আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং পলাতক আসমীকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Share this post

PinIt
scroll to top