ঢাবি ছাত্র, লিখল ‘সরি মা!’ কার্ডের পিনও দিয়ে গেল সুইসাইড নোটে

.jpg

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের ওপর থেকে পড়ে মারা যাওয়া ফিরোজ কাজীর (২২) কক্ষ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে উদ্ধার করা চিরকুটে লেখা আছে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের-এর চতুর্থ বর্যের এই শিক্ষার্থীর হতাশার কথা।

চিরকুটে লেখা আছে, ‘মানুষ বাঁচে তার সম্মানে। আজ মানুষের সামনে যেহেতু আমার সম্মান নেই, এই পৃথীবিতে বেঁচে থাকার আমার কোনো অধিকার নাই।

আমার মৃত্যুর দায়ভার একান্ত আমার। সরি মা! বাড়ি থেকে তোমাকে দিয়ে আসা কথা রাখতে পারলাম না। আমার জীবন নিয়ে হতাশ।’
22
চিরকুটের আরেক প্যারায় তিনি আরো লেখেন, ‘‘আমার ওয়ালেটের কার্ডে কিছু টাকা আছে।

বন্ধুদের কাছে অনুরোধ রইলো মায়ের হাতে দিতে। কার্ডের পাসওয়ার্ড ‘….’। আর ফোনের লক খুলে দিয়ে গেলাম। আমার লাশের পোস্টমোর্টেম না করে যেন বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

কোরোরূপ আইনি ঝামেলায় কাউকে যেনো জাড়ানো না হয়। সবাই বাঁচুক। শুধু পৃথিবীর অক্সিজেন আর নষ্ট করতে চাই না।’’
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যতটুকু প্রমাণ আমাদের কাছে আছে, এটা একটা সুইসাইড। কারণ তার সুইসাইড নোটও পাওয়া গেছে।

সে যখন রুম থেকে বের হয়েছে, তার মোবাইল, মানিব্যাগ, সুইসাইড নোট রুমে রেখে এসেছে। সুইসাইড বোঝা যাচ্ছে। বাকিটা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে।’
কাজী ফিরোজ মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ২০৩ নম্বর রুমে থাকতেন। তিনি আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। উল্লেখ্য, ওই নোটের হাতের লেখাটি তার বলে নিশ্চিত করেছে ফিরোজের কয়েকজন বন্ধুই।

Share this post

PinIt
scroll to top