খুলনার এক নারী গনধর্ষনের শিকার, দৌলতপুর থানায় মামলা

dor-so.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক:- 

নগরীর দৌলতপুর পাবলায় এক গৃহবধু দুর্বৃত্তদের দ্বারা গন ধর্ষণের শিকার। দৌলতপুর থানাধীন পাবলা কেশবলাল রোড এলাকার শাহজাহান শেখ(গুরুর) বাড়ীর ভাড়াটিয়া গত ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধু এলাকার ১৫ জনের অধিক দুর্বৃত্তদের দ্বারা গন ধর্ষণের শিকার হয়। ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়, বাড়িতে বুধবার বিকেলে ফেসবুকে সম্পর্কের সুত্র ধরে ইয়াসিন নামে এক যুবকসহ সাথে এলাকার কয়েকজন বখাটে যুবক তার কাছে আসে ও টাকা দাবি করেন এবং মোবাইলে ভিডিও করতে থাকেন। তখন এই ভুক্তভোগী যুবতী নারী তাকে ভিডিও করতে নিষেধ করলে তারা তাকে মারধর করে আহত করে। তখন এলাকার যুবকরা ১৫ হাজার টাকা চাদা দাবী করে। ভুক্তভোগীর স্বামী তাদের কে ৫ হাজার টাকা জোগার করে দিলে নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে আনুমানিক রাত ১০ টা ১৫ মিনিট সময় সংবদ্ধ দুর্ধর্ষ যুবকরা এসে পালাক্রমে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে।তাদের ভয়ে পাশে থাকা দুটি ভাড়াটিয়া দরজা আটকে রাখে।মেয়েটি চিৎকার করলে আসামিগণ বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে রাতে তার স্বামী বাসায় আসলে বিষয়টি জানতে পেরে । ভুক্তভোগী আরো জানান,তখন এলাকার সন্ত্রাসীচক্র ন্বামীকে কোন কিছু করলে এসিড নিক্ষেপ করবে বলে হুমকী প্রধান করে।সকালে ভুক্তভোগী যুবতী কে অসুস্থ দেখে বিষয়টি জানাজানি হয়। ধর্ষকচক্রের নানাবিধ হুমকির কারণে পরিবারটি ৫ দিন অতিবাহিত হলে ও মামলা করতে বা প্রশাসন সহ কাউকে মুখ খুলতেও পারেনি, কোন ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে তার শারীরিক অসুস্থতার জন্য পাবলা সবুজ সংঘ সুর্য্যের হাসি ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।এই ভুক্তভোগী পরিবারটি এই অঞ্চলে ভাড়া থাকেন এবং বাসা বাড়িতে কাজ কওে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। ভিকটিমের স্বামী একটি ফিল্টর পানির কোং তে ডেলিভারি দেওয়ার কাজ করেন। সকালে কাজে যায় আর রাতে বাসায় আসে। ভুক্তভোগী পরিবারটি ভয়ে মুখ খুলতে অস্বীকৃতি জানালেও প্রতিবেশীদের দ্বারা দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী কামাল হোসেন সংবাদটি জানতে পেরে ভুক্তভোগীকে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে যান। বিষয়টি জেনে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ভুক্তভোগী ভিকটিমকে সোমবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থিত ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে(ওসিসি) ভর্তি করা হয়।সকল চিকিৎসা শেষে ভিকটিমের স্বামীর হেফাজতে দেওয়া হয়।ধর্ষণের ঘটনায় দৌলতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯(৩) তথ সহ ৫০৬ পেনাল কোডে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-১৫,তারিখ-১৮.০৯.২৩।মামলায় ৩ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাবলা কেশবলাল রনি ভিলা এলাকাবাসি জানান,এ অঞ্চলে ট্যাংলরি শ্রমিক ইউনিয়নের এক প্রভাবশালী নেতার আশীর্বাদ পুষ্ট এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মাদক,সন্ত্রাসী ও ধর্ষণের মত অপকর্মের সাথে জড়িত। এদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনা। ট্যাংলরী শ্রমিক ইউনিয়নের ওই নেতার আশ্রয়প্রশ্রয় এরা সর্বদা এই অপকর্ম করে থাকেন। তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা মোকদ্দমা হলে তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন। কোথাও কোন সমস্যায় পড়লে ট্যাংলরী শ্রমিক নেতা সহযোগিতা করেন। এই চক্রটি এলাকায় মাদক সন্ত্রাসী ও নারীদের উত্তপ্ত করে থাকেন। আগস্ট মাসে এই সন্ত্রাসী চক্রটি খালিশপুরের দুইজনকে হামলা করে আহত করে। তারা ধাড়ালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ মারে তাতে ১৬ টি সেলাই দিতে হয়। এই চক্রের কয়েকজন সদস্য ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত রয়েছে। দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী কামাল হোসেন জানান, ভিকটিমের লিখিত এজাহার সোমবার থানায় রুজু করা হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের কঠোর অভিযান চলেেছএ ঘটনার সাথে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।অভিযান অব্যাহত আছে দ্রুত সময়ের মধ্যেই ধরতে সক্ষম হবে বলে জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন আসামিকে আটক করতে পারেনি।

Share this post

PinIt
scroll to top