কেএমপি’র খানজাহান আলী থানা পুলিশ কর্তৃক ১৯ বছর আত্মগোপনে থাকা যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতারঃ

pol-2.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক:- 

গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ রাত্র ০৮.০০ ঘটিকা হতে ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ সকাল ১০.০০ ঘটিকা পর্যন্ত খানজাহান আলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব পলাশ কুমার দাসের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে খানজাহান আলী থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম খুলনা জেলার ফুলতলা থানাধীন বুড়িয়ারডাঙ্গা এলাকা হতে ১৯ বছর আত্মগোপনে থাকা যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত হত্যা মামলার আসামী ১) জাহিদ হাসান(৫০), পিতা-কাওসার মোল্লা, সাং-পাড়িয়ারডাঙ্গা, থানা-খানজাহান আলী, খুলনা মহানগরী’কে গ্রেফতারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
১৯৮১ সালে জাহিদ হাসান খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। সে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি পান। ঢাকা সেনানিবাসের নবম বেঙ্গল রেজিমেন্টে একজন সৈনিক পদে তিনি চাকরি করতেন। ২০০৪ সালে যশোর জেলার অভয়নগর থানায় বিবাহ করেন। সে যমুনা সেতু প্রকল্পেও কাজ করেন। বিবাহ পরবর্তী সময়ে তার স্ত্রীর সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের জের ধরে জাহিদ হাসান দশ দিনের ছুটিতে বাড়ি এসে তার স্ত্রীকে হত্যা পূর্বক লাশ গুম করার জন্য নদীতে ফেলে দেন। সে আর তার বাহিনীতে দশ দিনের ছুটি আসার পর যোগদান করেননি। সেখান থেকে তিনি পলাতক হয়ে যান। এক পর্যায়ে জাহিদ হাসানের স্ত্রীর মৃতদেহ নদী থেকে উদ্ধার হয় এবং তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে যশোর জেলার অভয়নগর থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে জাহিদ হাসানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। পরবর্তীতে জাহিদ হাসান ভারতে চলে যান। বাংলাদেশে ফিরে সে চিটাগাং, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকে। গত ১২ বছর পূর্বে যশোর রাজঘাট মইনুদ্দিনের মেয়ে সুমিকে বিবাহ করেন। সর্বশেষ সে খুলনা জেলায় ফিরে এসে ফুলতলা এলাকায় বেজের ডাঙ্গা নামক একটি গ্রামে ওমর আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তার নিজের নাম-সহ পিতা ও মাতার নাম পরিবর্তন করে শুধুমাত্র হোসেন নাম ধারণ করে এবং নিজের বেশভূষণের কিছুটা পরিবর্তন এনে নিজেকে আড়াল করার উদ্দেশ্যে মুখে দাড়ি রেখে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছুদিন যাবত চাকরি করতে থাকে। উল্লেখ্য, সে অভয়নগর থানার মামলা নম্বর-০৩, তারিখ-০৬/০১/২০০৪, ধারা-৩০২/২০১ পেনাল কোডের আসামী হওয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হতে বরখাস্ত হয়ে চাকুরিচ্যূত হন।

Share this post

PinIt
scroll to top