রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সম্পাদক হিসাবে নাহানেই ভরসা যুবলীগ নেতৃবৃন্দ

sadharon.jpg

জাকির হোসেন রাজশাহী।

যে কারনে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে যোগ্য প্রার্থী নাহিদ আক্তার নাহান।
প্রায় ৩০ বছর ধরে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে সুপরিচিত একটি নাম নাহিদ আক্তার নাহান। পারিবারিকভাবে আওয়ামী পরিবারে বেড়ে উঠা ও ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নাম লেখানো এ রাজনীতিবিদ আসন্ন ২৬ শে সেপ্টেম্বর রাজশাহী মহানগর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক পদে লড়ছেন। নগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নাহিদ আক্তার নাহানেই ভরসা করছে নগর যুবলীগের একাধিক নেতাকর্মীরা।জানা গেছে, নাহিদ আক্তার নাহান ছাত্রলীগ করা অবস্থায় তিনি ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ২০০৩ সালে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৪ সালে যুবলীগে যোগ দিয়ে মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১২ বছর সেই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক পদে লড়ে হেরে যান। এর পর তাকে যুবলীগের কোন দলীয় পদেও রাখা হয়নি তবুও যুবলীগের প্রত্যেকটি প্রোগ্রামে তার ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো । এবার তিনি আবারো সাধারন সম্পাদক পদ প্রার্থী হয়েছেন। রাজশাহী মহানগর যুবলীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নাহিদ আক্তার নাহান যুবলীগের সাবেক সফল সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমানে নগর যুবলীগ কে গতিশিল করতে ত্যগী ও যোগ্য সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নাহিদ আক্তার নাহানেই ভরসা করছেন তারা। নাহান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচীত হলে মহানগর যুবলীগ যেমন হবে শক্তি শালি ও সু সংগঠন। সেই সাথে মেয়র লিটন ভাই এর হাত কে শক্তিশালি করতে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নাহিদ আক্তার নাহানের বিকল্প সাধারণ সম্পাদক প্রর্থী দেখছি না কাউকে। নাহিদ আক্তার নাহান বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডের যারা যুবলীগের কমিটির পদে রয়েছেন ( কাউন্সিলর ) তাদের সকলের ছবি ও মোবাইল নাম্বার সহ প্রকাশ করা উচিত। যাতে যারা প্রকৃত ভোটার তারা জানতে পারবেন কারা ভোট দিচ্ছেন। কারন একই নামে একাধিক ব্যক্তিও থাকতে পারে। এভাবে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হলে সবার কাছে নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।নাহান আরো জানান, আওয়ামী লীগের পরেই যুবলীগ। তাই সকলের মতো আমরাও চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে মহানগর যুবলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। দলীয় কোন্দল ও বিভেদ নিরসন করে সবাইকে নিয়ে একটি সুন্দর সংগঠন তৈরি করার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন,যদি নির্বাচিত হই তবে আগামী যুবলীগের নির্বাচন সঠিক সময়ে অনুষ্ঠিত করা ও সাংগঠনিকভাবে দক্ষ নেতৃত্ব তৈরি করার চেষ্টা করবো। ঝিমিয়ে পড়া রাজশাহী মহানগর যুবলীগকে চাঙ্গা করে নেতৃত্ব তৈরি করতে চাই এতে যুবলীগের পাশাপাশি মহানগর আওয়ামী লীগ লাভবান হবে। কারন যারা বর্তমানে যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত তারা ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করবে। ফলে মূল সংগঠনে কাজ করা তাদের জন্য সহজ হবে। পদ আকড়ে ধরে না রেখে নতুন নতুন নেতৃত্ব তৈরি হলে সর্বোপরি আওয়ামী লীগ লাভবান হবে বলে তিনি জানান। রাজশাহীতে আমার অভিভাবক হিসেবে জাতীয় চার নেতার অন্যতম ও বঙ্গবন্ধুর সহচর সর্বজন শ্রদ্ধেয় শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান এর সুযোগ্য পুত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও পুনরায় নির্বাচিত রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রয়েছেন। তিনি ভালো ভাবে সুসংগঠিত করে দল চালাচ্ছেন। তিনি নিজেও জানেন কার যোগ্যতা কতোটুকু। কাকে দিলে দলের ও সংগঠনের ভালো হবে।
১৯৯৬ সালের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন ও সেই বছরের ১৫ই ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে নিজেদের কেন্দ্রগুলো নিয়ন্ত্রনে রেখেছিলেন বলে জানান তিনি। এছাড়া ২০০৭ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজশাহীতে ‘এক মিনিটের প্রতিবাদ মিছিল’ হয়েছিল সেই মিছিলে নাহান অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন।নাহিদ আক্তার নাহান বলেন, আসন্ন ২৬ শে সেপ্টেম্বর নির্বাচনে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতৃবৃন্দ ও বর্তমান মেয়র লিটন ভাই অভিভাবক হিসেবে যা সিদ্ধান্ত নিবেন সেটি মেনে নিয়ে আগামীতেও যুবলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র (২) ও এক নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রজব আলীর ছোট ভাই এবং রাজপাড়া থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রিনা বেগম এর ভাই নাহিদ আক্তার নাহান। নাহিদ আক্তার নাহানের ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহেন শাহ্ বিএনপি নেতাদের হামলায় নিহত হন। নাহিদ আক্তার নাহানের পরিবার আওয়ামী লীগ কারা কারনে জোট সরকারের আমলেও বিভিন্ন ভাবে মামলা, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

Share this post

PinIt
scroll to top