বটিয়াঘাটা প্রতিনিধিঃ—
চাঁদাবাজি, দখলদারি, ডাকাতি, লুটপাট, হামলা মামলাই তার দৈনন্দিন কাজ, বলছি খুলনার বঙ্গবন্ধু কলেজের বহিস্কৃত ইসলাম শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক, মহানগর জামাত শিবিরের সাবেক সভাপতি এনামুলের কথা। খুলনা থানায় নাশকতার মামলা নাম্বার ২৮/২০১৫ জেল খাটেন এনামুল। ২০১৬ সালে নাশকতার মামলার কারণে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ থেকে বহিষ্কার করেন তাকে। এরপরে আরো সক্রিয় হয়ে ওঠে তার জমি দখল, চাঁদাবাজি, লুটপাটের কার্যক্রম। জমি দখলের জন্য তৈরি করে বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী। দখলবাজি চালানোর জন্য বেছে নিয়েছে খুলনা সিটির বাইরে নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যালঘু এলাকা। সম্প্রতি বটিয়াঘাটা উপজেলার ১ নং জলমা ইউনিয়নের তেতুলতলায় এক সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা করে, জোরপূর্বক তাদের বসতবাড়ি দখল করেন। পরিবারটির কয়েকজন সদস্যেকে তার পেটুয়া বাহিনী দিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তার বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনীর সহায়তায় সংখ্যালঘু পরিবারটির গৃহবধূকে কয়েকবার ধর্ষণ করে আহত করে। পরবর্তীতে নির্যাতিত সংখ্যালঘু পরিবারটি থানায় অভিযোগ করলে, বঙ্গবন্ধু কলেজের নাম পরিচয় ব্যবহার করে এবং খুলনার সাবেক পুলিশ সুপারের ভাই খোড়া মিন্টুর সহযোগিতায় পার পেয়ে যায়, ভূমিদস্য, জামাত নেতা এনামুল। হয় না কোন মামলা, থানা পুলিশ নেয় না কোন অভিযোগ, দিনের আলোতে রাতের অন্ধকারে যেকোনো সময় চালাচ্ছে দখলবাজি, হামলা। কিছুদিন আগে সাচিবুনিয়া রেল ক্রসিং সংলগ্ন আব্দুর রহিম সড়কের বাসিন্দা বিনয় গোলদারের সরকারি রেকর্ডীও সম্পত্তির উপর দখলবাজীর কু—নজর পড়ে জামায়াত নেতা এনামুল এবং পুলিশ সুপারের ভাই খোড়া মিন্টুর। দখলবাজির কু—নজর থেকে রক্ষা পায়নি বিনয় গোলদার ও তার পরিবার, ২রা আগস্ট ভর দুপুরবেলা জামায়াত নেতা এনামুলের জমি দখলের বিশেষ পেটুয়া বাহিনী নিয়ে হামলা করে বিনয় গোলদারের বসতবাড়ি এবং তার পরিবারের উপর। ২৪/২৫ জন সন্ত্রাসী বিনয় গোলদারের উপর হামলা করলে, ভয়ে বিনয় গোলদারের মামা মাই টিভির খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি শিশির রঞ্জন মল্লিকের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ভয়ে পালালেও শেষ রক্ষা হয়নি বিনয়ের, মাই টিভির খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি শিশির রঞ্জন মল্লিকের বাড়ি জানা সত্ত্বেও বাড়ির ভিতরে ঢুকে লোহার দরজা ভেঙ্গে বিনয়কে ঘর থেকে টেনে বের করে ২৪/২৫ জন সন্ত্রাসী লোহার রড়, লোহার পাইপ, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, হাতুড়ি, রাম দা, দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর যখম করে। সাথে থাকা তার ভাইপো প্রিটর গোলদার কেও মেরে গুরুতর জখম করেছে। শুধু তাদের মেরেই সন্ত্রাসী বাহিনী থেমে যায়নি, সাংবাদিক শিশির রঞ্জন মল্লিকের বাড়িতে থাকা নেমপ্লেট, হোল্ডিং প্লেট, আসবাপ পত্র ভাঙচুর করে নগদ ৩৭ হাজার টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণ অলঙ্কার, ১টি টিভি, ২টি সাউন্ড বক্স সেট, জিএফসি এসটান ফ্যান, ২টি পানির মটর, ৪টি মোবাইল ফোন সহ সকল বিভিন্ন প্রকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে এনামুল ও তার পেটুয়া বাহিনী। ভূমিদস্যু জামাত নেতা এনামুল ও খোড়া মিন্টুর ছত্রছায়ায় ওই এলাকায় গড়ে তুলেছে চাঁদাবাজি এবং দখলবাজির সাথে জড়িত সাদাম, ইদ্রিস সহ নাম না জানা ২৫/৩০ জনের বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনী। এ ঘটনায় প্রিটর গোলদার বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করে যাহার নাম্বার ০২/২০২৩। মামলা করার পেও র্যাব—৬ গ্রেফতার করে এনামুলকে। একদিন জেল খেটে সুকৌশলে বঙ্গবন্ধু কলেজের নাম পরিচয় ব্যবহার করে জেল থেকে জামিন নিয়ে বের হয়েছে বাটপার জামায়ত নেতা এনামুল। এভাবে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত নিপীড়িত এবং দখলবাজির শিকার হচ্ছেন খুলনার বটিয়াঘাটার উপজেলার কিছু সংখ্যালঘু পরিবার। এই দখলবাজ, সন্ত্রাস , চাঁদাবাজ জামায়াত নেতা সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্রুত বিচারের আওতা এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভূক্তোভূগীর পরিবার সহ এলাকাবাসী।